এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বেআইনি গাঁজা-ব্যবসার বখরা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই কি বিজেপি-সভাপতি খুন? পুলিশি রিপোর্টে জল্পনা

বেআইনি গাঁজা-ব্যবসার বখরা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই কি বিজেপি-সভাপতি খুন? পুলিশি রিপোর্টে জল্পনা

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নাম ফের জড়ালো দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডে। বেআইনি গাঁজা ব্যবসার টাকা লেনদেন করতে গিয়ে গন্ডোগোলের জেরে খুন হতে হল খড়গপুর -১ ব্লকের শিরশি বুথের বিজেপি সভাপতি সন্তু জানাকে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জন দুয়া,সন্তু ভুঁইয়া ওরফে জগা,পিন্টু করণ এবং চন্দন দে-কে পাকরাও করেছে পুলিশ। এদিন ধৃতদের মধ্যে দুজনকে দাঁতন এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন পুলিশ। বাকি দুজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতদের৷ জোরকদমে চলছে তদন্ত।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এদিকে বিজেপি সভাপতি গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে যান গেরুয়া শিবির কর্তারা। দলের দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি সৈকত শতপথী এই ঘটনার সঙ্গে সন্তু জানার যোগসূত্রকেই অস্বীকার করেন সরাসরি। জানান,সন্তু নয়,সন্তুর দাদা এই গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাছাড়া বছর দেড়েক আগে যখন সন্তু জানা দলীয় সভাপতি হয়,তখন তো এসব কিছু প্রকাশ্যেই আসেনি। ব্যক্তিগতভাবে কে কোথায় কী করছে তার খোঁজ রাখা সম্ভব নয় বলেও মতপ্রকাশ করলেন তিনি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে,এই ব্যাপারে সাফাই দেওয়ার পর্যাপ্ত যুক্তি তাঁর কাছে নেই বলে ইচ্ছে করে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছেন তিনি।

এদিকে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে সন্তু জানা খুন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য। সেই তথ্য মোতাবেক, পঞ্চমীর দিন সন্ধ্যায় ধৃত চার যুবক পূর্ণপানির মাঠে মদ খাওয়ার আয়োজন করে। সেখানে ডাক পড়ে সন্তুরও। বন্ধুদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেই আসরে মদ খেতে আসে সন্তু। তারপরই তাঁর মদ খাওয়ার ব্যস্ততার সু্যোগ নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক সেই সময় জগা পিছন থেকে রিভলভার দিয়ে তার মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। এরপর জগা সহ অন্যান্যরা যৌথ উদ্যোগে, সন্তুর মৃতদেহ বস্তায় বেঁধে লরি করে ভসরাঘাটে জঙ্গলকন্যা সেতু থেকে সুবর্ণরেখা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ধৃত চন্দন লরি চালক। সে-ই লরি এনে মৃতদেহ ভসরাঘাটে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে দেহ জলে ফেলা হয়। এরপর মহাষষ্ঠীর দিন সকালে দাঁতনের মহেশপুরে সুবর্নরেখা নদী থেকে সন্তু জানার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া জানিয়েছেন,মৃতদেহ উদ্ধার করার পর তাঁর মাথার পিছনে ক্ষতচিহ্ন লক্ষ্য করা যায়। এরপর ময়না তদন্ত করে সিদ্ধান্তে পৌছানো হয়,গুলি করেই খুন করা হয়েছিল সন্তু জানাকে। এবং সমগ্র ঘটনাটি ঘটে পূর্ণপানির মাঠে। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে চার যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশে জেরার চাপে পড়ে নিজেদের অপরাধ ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে ওই ধৃত চারজন।

স্থানীয় সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনিভাবে গাঁজা পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত ধৃত ওই চার ব্যক্তি। রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং ভিনরাজ্য থেকেও গাঁজা এনে বিভিন্ন জায়গায় গাঁজা পাচার করত এরা। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল নিহত সন্তু জানা এবং দাদা শম্ভু জানাও। মূলত দাদার ব্যবসার টাকা আদায়ের কাজ করত সন্তু। গাঁজা পাচার ব্যবসায় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন নিয়ে ওই চার ধৃতদের সঙ্গে ঝামেলা বাধে সন্তু এবং তার দাদার। এই বিরোধের জেরেই খুন হতে হল বিজেপি সভাপতি সন্তু জানাকে।এদিকে, বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে দেখে গেরুয়াশিবিরের সমালোচনায় মুখর হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে ফের একবার বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার সুযোগ হারাতে নারজ শাসকদল। উদ্বেগে পদ্মশিবির নেতৃত্বরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!