দাড়িভিট স্কুল খুলতে রাজনীতি ভুলে সদর্থক পদক্ষেপ বিরোধীদের, প্রশাসন কর্নপাত করবে কি? উত্তরবঙ্গ রাজ্য November 3, 2018 গত ২০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা চরমে ওঠে উত্তর দিনাজপুর সহ গোটা রাজ্যে। প্রশাসনের সমালোচনার মুখর হয় বিরোধীরা। শাসক বনাম বিরোধীদের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির জেরে উত্তাপের পারদ ক্রমশ চড়া হয় রাজ্যরাজনীতিতে। ওদিকে ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকেই তালা ঝুলেছে স্কুল গেটে। স্কুল খোলার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েকবার মিটিং করা হলেও এখনো স্কুলটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সামনে আবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহত পরিবারের লোকজনদের নিয়ে মিটিং করে। কিন্তু সেই বৈঠকের মাধ্যমেও এ সমস্যার সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এই প্রেক্ষিতে স্কুলটি খোলায় প্রশাসনের চরম অনিচ্ছা রয়েছে বলেই অভিযোগে সবর বিরোধীরা। এবং স্কুলটি খুলতে এবং এলাকার অস্থির অবস্থা কাটাতে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবী তোলে তাঁরা। দাড়িভিট স্কুল নিয়ে কেবলই রাজনীতি হচ্ছে। কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্কুল খোলার জন্য প্রশাসনকে আরো যত্নবান হওয়ার কথা বলেন ইসলামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মুস্তাফা। পাশাপাশি আরো জানান, এ সমস্যার সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবীতে ইসলামপুর মহাকুমা শাসকের অফিসে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস অভিযোগ জানিয়েছেন, শাসকদল দল বিরোধীদের নিয়ে কোনো কাজই করছে না। সবক্ষেত্রেই কাজ করতে তাঁরা পুলিশের মদত নিচ্ছে। দাড়িভিটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনিও সর্বদলীয় বৈঠক করার পরামর্শ দেন। ওদিকে একই সুরে সুর টানতে দেখা যায় বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেনকে। প্রশাসন যেহেতু নিজেরা বৈঠক করে কোনো সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি তাই সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমেই কোনো উপায় বেরোবে বলেই তাঁর যুক্তি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে তেমন সদিচ্ছা দেখালেন না ইসলামপুরের বিধায়ক তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগরওয়াল। জানালেন,সর্বদলীয় বৈঠকেী ব্যাপারে মহাকুমা শাসককে জানানে হয়েছে। নিহতদের পরিবারদের কিছু দাবী রয়েছে। সেগুলি পূরণ না হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে তেমন লাভ হবে না বলেই মনে করেছেন তিনি। তবে,বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে স্থানীয়রাও কিন্তু সর্বদলীয় বৈঠক করার সমর্থনেই কথা বলেছে। এই প্রেক্ষিতে প্রশাসন বিরোধীদের কথার গুরুত্ব দেয় কিনা সেটাই দেখার! গোটা বিষয়টা নিয়ে ব্যাপাক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যরাজনীতির অন্দরে। আপনার মতামত জানান -