এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় নিজের উদ্যোগেই কাজ শুরু করছে রাজ্য

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় নিজের উদ্যোগেই কাজ শুরু করছে রাজ্য

দীর্ঘ টালবাহানার পর ঘাটাল মাষ্টারপ্ল্যানে সীলমোহর পড়লেও সেই খাতে এখনো পর্যন্ত কোনো আর্থিক সাহায্য আসেনি কেন্দ্রের। কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে বারবার আবেদন করেও একটা টাকাও আদায় করতে পারেনি রাজ্য।

তবে এবার আর কেন্দ্রের ভরসায় বসে থাকতে রাজি নয় প্রশাসন। কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না হয়ে প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর কথা মতো আজ থেকেই কংসাবতী এবং রূপনারায়ণের সংযোগকারী পলাশপাই খাল সংস্কারের কাজ শুরু করছে সেচ দপ্তর।

১৯ কিমি এই খাল খননের কাজের শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী ডাঃ সৌমেন মহাপাত্র। ঘাটালের মানুষকে বন্যা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে আগামী বছরের বর্ষার আগেই এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

৭৩ কোটি টাকার এই মাস্টারপ্ল্যান একবার তৈরি হয়ে গেলে মজে যাওয়া খালটির সংস্কারের জেরে তার জলধারণ ক্ষমতা ৭০ হাজার কিউসেজ বেড়ে যাবে। এর সুফল পাবে দাসপুর ১ ও ২, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, পাঁশকুড়া প্রভৃতি ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির ভুক্তভোগী মানুষেরা।

এ বছর সেরকম ভারী মাত্রায় বর্ষা না হওয়ার কারণে জলবন্দি অবস্থার সম্মুখীন হননি এলাকাবাসী। তাছাড়া এখন শীত আসার মরশুমের শুকনো আবহাওয়া দেখেই নদী খনন এবং খাল কাটার কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। আগামী বছরের বর্ষার আগে যাতে প্রকল্পের কাজটির ইতি টানা যায়,তার জন্যে এখন থেকে জোর কদমে কাজ করতে সেচদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্ন সূত্রের খবর,প্রতি বছরের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার দাবী ছিল অনেকদিনের। ঘাটাল সহ পশ্চিমমেদিনীপুরের এই দাবীকে স্বীকৃতি দিয়ে রাজ্যসরকার কেন্দ্রের কাছে এর জন্যে অনুমোদন এবং আর্থিক সাহায্য চায়।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের কাছে জমা দেন। প্রথমে ২,২০০ কোটি টাকা খরচা বাবদ ধরা হয়েছিল এই প্রকল্পের জন্যে। এতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের আপত্তি থাকায় তা কমিয়ে ১,২৫০ কোটি টাকা করা হয়।

ঠিক হয়,এতে কেন্দ্র দেবে ৯০% টাকা এবং রাজ্য দেবে ১০%। কিন্তু সে দাবীও মেনে নেয়নি কেন্দ্র। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়,৬০% টাকা তাঁরা দেবে আর বাকি টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। কিন্তু তারপরও কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁরা জানায়,কেন্দ্র ৫০% দেবে বাকি ৫০% রাজ্যকে দিতে হবে। শেষে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়েও আপত্তি ছিল না রাজ্যের।

এরপরও এতোদিন পার হয়ে গেলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে এই প্রকল্পের জন্যে কোনো টাকা পাঠানো হয়নি। শুধু তাই নয়,প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্তমান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র দিল্লিতে দফায় দফায় দেখা করে, চিঠি দিয়ে আবেদন জানান।

কিন্তু তাতেও কোনো কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় এবার হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ রাজ্যসরকার। তাই নিজেদের উদ্যোগে প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করে দেওয়া হল এদিন। উল্লেখ্য,এবার এটাকে ইস্যু করেই লোকসভা ভোটের আগে মোদীসরকারকে আক্রমণ করবে তৃণমূল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্যের প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের এই গা ঢিলেমি ভাবটাকে কিছুতেই মুখ বুঝে মেনে নেবেন না তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। বিজেপির জনদরদী মুখোশ উপড়ে ফেলে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের অবহেলাকে রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরে নিজেদের প্রচার কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনাও সমানতালে চলছে তৃণমূলের অন্দরে,এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!