এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সাশ্রয়ের জায়গা থাকলেও বিধায়করা কম্পিউটারে সড়গড় না হওয়ায় বিধানসভা ‘পেপারলেস’ হচ্ছে না

সাশ্রয়ের জায়গা থাকলেও বিধায়করা কম্পিউটারে সড়গড় না হওয়ায় বিধানসভা ‘পেপারলেস’ হচ্ছে না

উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। কিন্তু সেই উদ্যোগ কতটা বাস্তবে রূপায়িত হয় বাংলার বিধানসভায় এখন তা নিয়েই জোর জল্পনা চলছে সব মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভার পাশাপাশি দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভায় কাগজের ব্যবহার বন্ধ করতে সম্প্রতি বিধানসভার অধ্যক্ষদের সম্মেলনে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

প্রযুক্তির এই যুগে কাগজ অপেক্ষা ইলেকট্রনিক যন্ত্রে যাতে সমস্ত কিছু মজুত করে রাখা যায় সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত বিধানসভাকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশ ছাড়া আর তেমন কোনো রাজ্যের বিধানসভাই নিজেদের পেপারলেস হিসেবে তুলে ধরতে পারেনি।

জানা গেছে, এই পেপারলেস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সিংহভাগ খরচই বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। একদিকে বিলের কপি, বাজেট নথি থেকে শুরু করে বিধানসভার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন কম্পিউটারে তুলে রাখলে সুবিধা হবে, ঠিক তেমনি অত্যাধিক কাগজের ব্যবহার কমলে পরিবেশ রক্ষাও হবে। আর তাই এই দুই জিনিসকে সাধন করতে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এহেন উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে কতটা সাফল্যের মুখ দেখেছে এই রাজ্য বিধানসভা?

সূত্রের খবর, গতকাল হিমাচল প্রদেশের পঞ্চায়েত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা বাংলার বিধানসভা পরিদর্শনে এসেছিলেন। পঞ্চায়েত পরিচালনার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি রাজ্যের বিধানসভা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। আর এইখানেই অনেকের প্রশ্ন যে, হিমাচল প্রদেশ পারলেও কেন এই রাজ্য সেই বিধানসভাকে পেপারলেস করতে পারছে না?

একাংশের ধারণা, এখনও রাজ্য বিধানসভার অনেক বিধায়কই কম্পিউটারে ঠিক পথে অভ্যস্ত নন। মুলতুবি প্রস্তাব বা প্রশ্নোত্তর পর্ব – আগে তারা যেভাবে কাগজে লিখে তা জমা দিতেন এই পেপারলেস প্রক্রিয়া চলে এলে এখন থেকে তা কম্পিউটারের মাধ্যমে ই ফর্ম পূরণ করে দিতে হবে।

ফলে এক্ষেত্রে একটা বাধা রয়েছেই। তবে বিধানসভা কে আংশিক কাগজ মুক্ত করা যে সম্ভব হয়েছে এদিন তা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ পেপারলেস বিধানসভা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরলে এই দিন সেই প্রসঙ্গে বিমান বাবু বলেন, “ওদের 60 জনের বিধানসভা। তাই এই কাজটা সহজ হয়েছে। আর আমাদের বিধানসভার ঐতিহাসিক দিক থেকে অনেক গুরুত্ব রয়েছে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে হিমাচল প্রদেশ নিজেদেরকে পেপারলেস বিধানসভা হিসেবে তুলে ধরলেও লোকসভা কতটা এই কাজ করতে সক্ষম হয় এদিন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত “পেপারলেস” হওয়ার স্বপ্নে অধরাই থেকে গেল বাংলার বিধানসভা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!