এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রয়াত মুকুল রায়-সব্যসাচী দত্ত ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতা, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে

প্রয়াত মুকুল রায়-সব্যসাচী দত্ত ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতা, শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে


রাজ্য-রাজনীতিতে শোকের ছায়া – প্রয়াত হলেন জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ মজুমদার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু আজ ভোরবেলায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে রাজ্য-রাজনীতিতে পরিচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যখন মুকুল রায়ের দূরত্ব তৈরী হয়, তখন জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস নামে একটি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই দলেরই সভাপতি ছিলেন অমিতাভবাবু। তবে, রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল – সেই দল আসলে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীকালে, মুকুলবাবু অবশ্য সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করেন। তখন কিছুদিনের জন্য অমিতাভবাবুর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরী হয়। জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে অমিতাভ মজুমদারকে সরিয়ে ফরিদ খানকে বসানোর কথা শোনা যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, যেহেতু মুকুলবাবু সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাই রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটকে তৃণমূল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ওই দলটি ব্যবহার করা হতে পারে।

কিন্তু, সেই সময় কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন অমিতাভবাবু। তিনি জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়তে চান নি। একসময়, এই দলটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও মিহিয়ে দেওয়ার জল্পনা ভাসতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীকালে, মুকুল রায়-সব্যসাচী দত্তের লুচি-আলুর দম ঘটনার সময় আবারো মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে দেখা যেতে শুরু করে অমিতাভবাবুকে। রাজ্য-রাজনীতির অনেক ঘটনার সঙ্গেই জড়িত এই প্রবীণ মানুষটি আজ পরলোক গমন করলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!