এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “আমি চলে গেলে ধরতেই পারত না” উধাও হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কমিশনের ঘাড়েই দোষ চাপালেন অনুব্রত!

“আমি চলে গেলে ধরতেই পারত না” উধাও হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কমিশনের ঘাড়েই দোষ চাপালেন অনুব্রত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতিবারের মত এবারেও নির্বাচনের আগে নজরবন্দি করা হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তার বিরুদ্ধে বারবার নির্বাচনের সময় প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। যার ফলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নজরবন্দি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে গোটা বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের নজর এড়িয়ে কার্যত উধাও হয়ে যান বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি থেকে বেরোনোর সাথে সাথেই তার পিছনে ছুটতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। মাঝে সিগন্যাল পড়ে যাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি অনেকটা এগিয়ে যায়। যার ফলে কার্যত পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা। মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের কনভয়।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরে কার্যত শোরগোল পড়ে যায় বীরভূম জেলা তথা সারা রাজ্যজুড়ে। যে অনুব্রত মণ্ডল কে নজরবন্দীর মধ্যে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন, সেখানে নজর এড়িয়ে তিনি কোথায় গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে একাংশ। তবে বেশ কিছুক্ষণ পর সেই অনুব্রত মণ্ডলকে তারাপীঠে পুজো দিতে দেখা যায়। আর এবার গোটা বিষয়ে কমিশনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

সূত্রের খবর, বুধবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে উধাও হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে কার্যত নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেন তিনি। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়! এটা তো যারা আমাকে খুঁজে পায়নি, তাদের দোষ। আমি কি করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম, কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম, তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল নজরবন্দি হওয়ার পর কমিশনের দায়িত্ব ছিল, তাকে চোখে চোখে রাখা। কিন্তু কোনো একটা কারণে সিগন্যাল পড়ে যাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি আগে চলে যায়। যার ফলে কমিশনের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের কনভয় খুঁজে না পাওয়ায় রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়।

তবে বেশ কিছুক্ষণ পর তারাপীঠ মন্দিরে দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনায় যে তার কোনো দোষ নেই, তা সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার করে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বারবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে নির্বাচনের সময় প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। কখনো চড়াম চড়াম ঢাক, আবার কখনও বা নকুলদানার কথা বলে নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। যা প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে দাবি করতে দেখা যায় বিরোধীদের। অতীতে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনেও নজরবন্দী হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কিন্তু নজরবন্দি হওয়ার পরেও তার উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে কার্যত তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। তবে এবার গোটা বিষয়ে কমিশনের আধিকারিকদের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

তবে নির্বাচনের আগের দিন অনুব্রত মণ্ডল কমিশনকে ঘোল খাইয়ে দিলেও নির্বাচনের দিন তিনি কি পন্থা অবলম্বন করেন, আবার এরকম কিছু ঘটনা ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে আসেন কিনা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!