সর্বনাশ! করোনা জুজুর মধ্যেই এবার জলে মিলল ভয়ঙ্কর অ্যামিবা! ধ্বংস করবে মস্তিষ্কের কোষ? অন্যান্য আন্তর্জাতিক শরীর-স্বাস্থ্য September 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জলেই সৃষ্টি আবার জলেই ধ্বংস। ইতিহাসের পাতায় প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, জলে সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম প্রাণের লক্ষণ। অ্যামিবার মধ্যে দিয়ে এককোষী জীব থেকে আজ বহুকোষী মানুষের সৃষ্টি। আবার সেই এককোষী জীবের মধ্যেই যে মৃত্যুর বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে, সে কথা সম্ভবত কেউই ভাবতে পারেনি। সম্প্রতি আমেরিকার একটি প্রদেশে এমনই হত্যাকারী অ্যামিবার খবর পাওয়া গেছে, যা কিনা মানুষের মগজখেকো অ্যামিবা নামে পরিচিত। তবে কি এই মগজখেকো অ্যামিবা কি? আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, মগজখেকো এই অ্যামিবাটি নদী, পুকুর, হ্রদ বা সুইমিং পুলের মত যে কোনও জলে থাকতে পারে। উষ্ণ জল হলে অ্যামিবা দ্রুত বংশবৃদ্ধি বা কোষ বিভাজন করে। সেই জন্য উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের অনেক বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত জলেও দেখা যায় এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ জলে এই ধরনের অ্যামিবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যান্য এককোষী জীবের মতই খালি চোখে এদের দেখা যায় না। এমনিতে এদের নিয়ে সমস্যা না থাকলেও যদি নাক দিয়ে কোনও ভাবে এরা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ছিন্নভিন্ন করবে ফেলতে পারে নিমেষে। সেক্ষেত্রে শিশু হলে তার তৎক্ষণাৎ মৃত্যু অবধারিত, তবে প্রাপ্তবয়স্ক হলে খানিকক্ষণ পর মারা পড়েন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দেখা গেছে, ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের জলে প্রথম এই মগজখেকো অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া যায়। ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় ১৯৬২ সাল থেকে এই অ্যামিবায় এখনও পর্যন্ত ১৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে মাত্র চার জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ২০১২ সালে পাকিস্তানেও এই অ্যামিবার ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছিল বলেও জানা যায়। বস্তুত, এমনি সমস্যা না হলেও বা কোনওভাবে জলের মাধ্যমে এই অ্যামিবাকে গিলে ফেললেও ততটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু নাক দিয়ে যদি তা শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে আর রক্ষে নেই। এর ফলে প্রাথমিক অবস্থায় হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর ও পেটব্যথা হয়। তবে উপসর্গ হিসেবে প্রথমে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও পেশির খিঁচুনি শুরু হয়। সেই সময় দ্রুত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ না দিলে মস্তিষ্কের কোষ ছিঁড়ে দেয় এই অ্যামিবা। সম্প্রতি এই অ্যামিবা নিয়ে আমেরিকার টেক্সাস কমিশন অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটির তরফে আটটি শহরে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখানে বলা হয়েছে, ব্রাজোসপোর্ট ওয়াটার অথরিটির সরবরাহ করা জল যেন এখনও কেউ ব্যবহার না করে। কারণ, ওই তাদের সরবরাহ করা জলের মধ্যে নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি নামের ওই বিরল প্রজাতির অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া গেছে। ফলত টেক্সাস প্রদেশের আটটি শহরে সতর্কতা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে, বিষয়টি সম্পর্কে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -