এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু বিজেপিতে যেতেই “পর্যবেক্ষক” পদ! ভিত্তিহীন দাবি তৃনমূলের!

শুভেন্দু বিজেপিতে যেতেই “পর্যবেক্ষক” পদ! ভিত্তিহীন দাবি তৃনমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূল কংগ্রেস যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীকালে বিজেপির চাপে ক্রমাগত কোণঠাসা হতে শুরু করেছিল, তখন বিভিন্ন জেলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় হঠাৎ করেই সেই পর্যবেক্ষক তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা দাবি করেছিলেন, আসলে শুভেন্দুবাবুকে কোণঠাসা করতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে রয়েছেন।

ক্রমাগত তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে আবার কি সেই পর্যবেক্ষক পদ ফিরিয়ে আনল তৃণমূল কংগ্রেস? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঠিক যেমনটা অতীতে “পর্যবেক্ষক” নাম যুক্ত করে একাধিক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লেখানোর পরই কেন আবার অতীতের মতো বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে আনা হল নানা তৃণমূল নেতাদের! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল দায়িত্ব দেবে না, তাই একসময় পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়া হয়েছিল! এখন তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এই বিষয়টিকে কার্যত “ভিত্তিহীন” বলে জানিয়ে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, “এমন কিছু দলের অন্দরে হয়নি। এই খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাংলার কয়েকটি জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। এই জাতীয় নিয়োগ হয়নি।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের টুইটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার দায়িত্বে বেশকিছু তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছে।

সুব্রত বক্সী থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিমকে একাধিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এর পরেই তৃণমূল কংগ্রেস আবার কি পর্যবেক্ষক পদ ফিরিয়ে আনল, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। আর এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে একাংশ দাবি করেন, তৃণমূলের এই উদ্যোগে কার্যত পরিষ্কার যে, একসময় শুভেন্দু অধিকারীকে দলে কোণঠাসা করার জন্যই তাকে পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার সেই পদ ফিরিয়ে নিয়ে আসল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা হলেও চাপে পড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে কার্যত জানিয়ে দেওয়া হল, এই খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরেই তিনি দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। আর তাই তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বলেও দাবি করেছিলেন একাংশ। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার সেই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। পাল্টা শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দলে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবার বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে বিভিন্ন নেতাদের নিয়ে আসা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করে।

তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যখন একাধিক জেলার দায়িত্বে ছিলেন, তখন কেন পর্যবেক্ষক তুলে দেওয়া হল! এই ঘটনা থেকেই কার্যত পরিষ্কার যে, শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে রাখতেই সেইসময় এই পদ তুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার সেই পদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এমতাবস্থায় শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা একসময় যে তাদের নেতাকে কার্যত দলে কোণঠাসা করা হয়েছিল, সেই ব্যাপারে দাবি তুলতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠরা যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই বিষয় নিয়ে সরব হতে শুরু করেন, তখন তৃণমূলের বিবৃতির দিকে তাকিয়েছিলেন সকলেই।

অবশেষে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে এই ব্যাপারে টুইটে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন‌। কিন্তু সত্যিই কি তা ভিত্তিহীন, নাকি চাপে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে এখন এই কথা বলতে হল! এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!