এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের লক্ষ্যে বাংলায় স্বপন দাশগুপ্তকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়ে এলেন অমিত শাহ

একুশের লক্ষ্যে বাংলায় স্বপন দাশগুপ্তকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়ে এলেন অমিত শাহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অতিমারী পরিস্থিতিতে বাংলায়, সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে অনেকের মনেই সংশয় জেগেছিল। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিহারে নির্বাচন সম্পন্ন করল, তাতে করে বাংলার নির্বাচন নিয়ে আর কারোর মনেই কোনো সন্দেহ নেই। বিশেষ করে বিহার দখলের পর বাংলার লক্ষ্যে অমিত শাহ যেভাবে একের পর এক ঘুঁটি সাজিয়ে চলেছেন বা ইতিমধ্যেই স্বয়ং একবার বঙ্গসফর সেরে গেছেন, তাতে বিজেপি যে বাংলা নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াসলি ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সেই ব্যাপারে নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আর বাংলায় গেরুয়া ঝড় তীব্র করতে এবার রাজ্যসভার হেভিওয়েট সাংসদ তথা প্রখ্যাত সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্তকে বড়সড় দায়িত্ব দিলেন খোদ অমিত শাহ বলে সূত্রের খবর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলায় বিজেপির হাত ধরে ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ হবে কি হবে না – তা অনেকাংশেই নির্ভর করছে বুদ্ধিজীবী মহলের উপরে। বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী মহলের সেলিব্রিটি অংশকে যেভাবে প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে দেখা যায়, তাতে করে অন্যান্য বিরোধী দলের কাছে তা যথেষ্ট শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দেখা দেয়।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে দুটি কথা শোনা যাচ্ছে। এক, বুদ্ধিজীবী মানেই শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী বা সেলিব্রিটি নন, তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, অধ্যাপক থেকে শুরু করে সমাজের শিক্ষিত ও প্রভাবশালী অংশ। আর এই সব মানুষদের অনেকেই নাকি বর্তমান সরকারের উপর বীতশ্রদ্ধ, কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। অন্যদিকে, সেলিব্রিটি শিবিরের অনেকেই নাকি ‘রাজনৈতিক চাপে’ পরে বর্তমান শাসকদলকে সমর্থন করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর তাই গেরুয়া শিবির ঠিক করেছে বুদ্ধিজীবী মহলের সঙ্গে এবার সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর অত্যন্ত সংবেদনশীল এই বুদ্ধিজীবী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মূল দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে স্বপনবাবুকে। যদিও স্বপনবাবু এই নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল বলছে, খোদ অমিত শাহ দায়িত্ব দিতেই নাকি ময়দানে নেমে পড়েছেন স্বপনবাবু। অতি সন্তর্পনে চলছে তাঁর এই বুদ্ধিজীবী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রাথমিক মহড়া। এদিকে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই এই বুদ্ধিজীবী মহলকে কাছে টানার প্রক্রিয়া শুরু করে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ-বিজেপির বহু হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীই এই দায়িত্ব পেতে মরিয়া ছিলেন।

কিন্তু, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ নিজে এই কাজের জন্য স্বপনবাবুকে বেছে নিয়েছেন। একই সঙ্গে নাকি দলের বাকি নেতাদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই কাজে স্বপনবাবুই শেষ কথা বলবেন। কোনোভাবেই যেন তাঁকে দলের অভ্যন্তরে এই নিয়ে কোনো অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে না হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে টালিগঞ্জের গেরুয়াকরণ করতে গিয়ে বিজেপির মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছিল। পরে বাবুল সুপ্রিয়কে মাথায় বসিয়ে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু, এবার বিজেপির লক্ষ্য বৃহত্তর বুদ্ধিজীবী মহল। ফলে স্বপনবাবুর মত পন্ডিত, সুবক্তা এবং সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তিকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছেন খোদ অমিত শাহ। এমনিতেই মাঝে মাঝে বিজেপির বিভিন্ন প্রথম শ্রেণীর নেতার মুখে কুকথা শোনা যায়। যা নাকি বাংলার সুধীজন সমাজ ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নাকি অমিত শাহের টেবিলে পৌঁছেছে। আর তাই স্বপনবাবুকে সামনে এনে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন অমিত শাহ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সামলোচকরা। বিশেষ করে ‘বিজেপির মুখ’ কে এই প্রশ্ন যখন জোড়ালো হচ্ছে তখন স্বপনবাবুকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই অভিমত একটা বড় অংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!