এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজীব কুমারকে সিবিআই ডাকতেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কেন মমতা? প্রশ্ন বাবুলের

রাজীব কুমারকে সিবিআই ডাকতেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কেন মমতা? প্রশ্ন বাবুলের

কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কটা সবসময়েই বঙ্গ-রাজনীতিতে চর্চিত বিষয় হয়ে থেকে গেছে! বিশেষ করে দুজনের একসঙ্গে ‘ঝালমুড়ি’ খাওয়ার পর তা যেন আরও অম্ল-মধুর হয়ে গেছে। আর এবার বাবুল সুপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক নিয়ে তির্যক মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল বিকেলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪ টের সময় দুজনের বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আর্জি জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের ‘ফেডারেল স্ট্রাকচারে’ এই ধরনের মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বৈঠক খুবই সাধারণ ঘটনা।

এমনকি, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েওছিলেন যে, মুখে তৃণমূল নেত্রী যতই তাঁকে কড়া কথা শোনান না কেন, বাস্তবে কিন্তু তিনি প্রধামন্ত্রীকে কুর্তা বা মিষ্টি পাঠিয়ে সৌজন্য দেখান! যদিও, তা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে – তিনি বলেছিলেন সৌজন্যের নয়, তিনি নরেন্দ্র মোদিকে নাকি মাটি-কাঁকরের মিষ্টি পাঠাবেন। এমনকি, কেন্দ্রের ডাকা বিভিন্ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তো যানই না – তাঁর কোনো প্রতিনিধিকেও অংশ নিতে দেন না। যা নিয়ে বহুবার বহু বিতর্ক হয়েছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল, নিউটাউনের কোল ভবনে সিআরপিএফের হিন্দি দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক তো খুশি হওয়ার মতো ব্যাপার। এতে রাজ্যের ভাল হবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতিটা এমন করে ফেলেছেন যে লোকে হাসাহাসি করছে!

বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেন, এমনকি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে গোটা দেশের সমস্ত রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীরা হাজির হলেও, দেখা যায়নি পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশমন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি থাকেন না। অথচ রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে সিবিআই উদ্যোগী হতেই উনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি ছুটছেন! ট্রাঙ্ক খুললে না জানি কী বেরিয়ে পড়ে, দেশের মানুষ এসব দেখে হাসছে।

প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডে সিবিআই মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আইপিএস রাজীব কুমারকে সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। তিনি চিটফান্ড কাণ্ডে রাজ্যের তৈরী সিটের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, তদন্তের নামে তিনি প্রভাবশালীদের সারদাকান্ড থেকে বাঁচাতে বহু নথি নষ্ট করে দিয়েছেন। ফলে, আদালত রক্ষাকবচ তুলে নিতেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝাঁপিয়েছে আর তার পর থেকেই কার্যত অজ্ঞাতবাসে রাজীব কুমার।

অজ্ঞাতবাস থেকেই তিনি আগাম জামিনের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে এর আগে, সিবিআইয়ের দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছালে, পুলিশ দিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের টেনে-হিঁচড়ে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি, রাজীব কুমারের বাড়িতে কেন সিবিআই যাবে – প্রশ্ন তুলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সব প্রসঙ্গকেই ইঙ্গিত করে বাবুল সুপ্রিয় জানান, ডাকলে তো যান না, অথচ রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে সিবিআই ময়দানে নামতেই দিল্লি ছুটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!