ত্রিপুরা নির্বাচনের পরেই কি ‘ইন্দ্রপতন’ হতে চলেছে শাসকদলে? বিশেষ খবর রাজ্য February 13, 2018 সবং উপনির্বাচনের আগে পর্যন্ত কেউ টের পায় নি, কিন্তু সবং উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়ে যেতেই হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র হিসাবে পরিচিত ভারতী ঘোষকে হঠাৎ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। আর তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাসকলদের শীর্ষনেতারা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, ভারতীদেবী আর শাসকদলের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন না, উল্টে তিনি বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাসকদলকে হারাবার তালে ছিলেন। আর তাই তার পরের ঘটনা এখন ইতিহাস। ‘অজ্ঞাতবাসে’ থাকা ভারতীদেবীর জন্য দলের দরজা খুলে দিয়েছেন স্বয়ং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেই কাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই ফিসফাস শুরু হয়ে গেছে আরেক ‘হেভিওয়েট’ তৃণমূল নেতাকে নিয়ে। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পরবর্তী অধ্যায়ে কলকাতার অদূরের এই দাপুটে নেতার ‘ক্ষমতাবৃদ্ধি’ হয়েছিল অনেকটা, এমনকি দেওয়া হয়েছিল অন্য রাজ্যের দায়িত্ত্বও। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি দলের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ গাইতে শুরু করেন। প্রকাশ্যেই এমন কিছু মন্তব্য দলের বিরুদ্ধে করে ফেলেন, যাতে করে দলকে বেশ অস্বস্তিতে পরে যেতে হয়। তারপর থেকেই গুঞ্জন চলছিল রাজনৈতিক মহলে, এমনকি দলের মধ্যে তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত নেতাদের সঙ্গে তাঁকে বাদ দিয়ে গোপন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক শীর্ষ নেতা। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘নাম না জানা’ এক ব্যক্তি হঠাৎ করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু পথে, এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চান দলের শীর্ষনেত্রীর কাছে। আর এই সবের ফলেই গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। ত্রিপুরা নির্বাচন মিটে গেলেই কি শাসকদল সেই ‘হেভিওয়েট’ নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে? আর তাই এইসব ঘটনা তার আগাম প্রস্তুতি? ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে দলের সম্প্রীতির ছবিটা ছিন্ন করা হচ্ছে না কিন্তু সলতে পাকানোর কাজটা করা হচ্ছে ধীরে ধীরে? নাকি সেই নেতাই চান দল ব্যবস্থা নিক তাঁর বিরুদ্ধে, তাহলেই ‘পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার কাজটা আসান হয়ে যাবে? এইসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এর আদৌ কতটা বাস্তবতা আছে নাকি সবটাই জল্পনা তা অবশ্য বোঝা যাবে ত্রিপুরার নির্বাচন পর্ব মিটলেই। আপনার মতামত জানান -