বর্তমানে সবার নজর করোনা ভাইরাসের দিকে। কিভাবে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই। তবে এই পরিস্থিতিতে এবার ফের রাজনৈতিক মহলকে কাঁপিয়ে দিয়ে একটি খবর উঠে আসতে শুরু করল। যেখানে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলির কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি সিংহের নামের পাশে থেকে মুছে গেল কংগ্রেস শব্দটি। যার পরবর্তীতে সেই অদিতি সিংহের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আগুন তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা।

অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি এবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথেই হাঁটবেন অদিতি সিংহ? জানা গেছে, এদিন নিজের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস নাম মুছে সেখানে অদিতি সিংহ আরবিএল শব্দটি বসিয়ে দেন এই কংগ্রেস বিধায়ক। কিন্তু হঠাৎ কেন তিনি এই শব্দ বসালেন? কেন তার দলের নাম সেখান থেকে উঠিয়ে দিলেন তিনি? বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এর আগে কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের টুইটারে প্রোফাইল পরিবর্তন করার কিছুদিন পরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

ফলে সেদিক থেকে অদিতি সিংহ এবার তার নামের পাশ থেকে কংগ্রেস শব্দটি উঠিয়ে দেওয়ায় তিনিও কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আর যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয়, তাহলে কংগ্রেসের কপালে শনি নাচতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের সময় রাজনীতি করার কি দরকার ছিল, এই ব্যাপারে একটি প্রশ্ন তুলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করতে দেখা যায় এই অদিতি সিংহকে।

আর এর পরেই তার টুইটার প্রোফাইল পরিবর্তন করায় এখন তীব্র সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত অদিতি সিংহ নিজের ইচ্ছায় নামের পাশ থেকে কংগ্রেস শব্দটি সরিয়ে দিলেন! নাকি ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবেন, তার কারণেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপিকে আটকাতে এক ছাতার তলায় এসেছিলেন বিরোধীরা।

কিন্তু তার পরেও মোদী-ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে যায় সকলে। আর তারপরেই একের পর এক হেভিওয়েট বিরোধী শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। সব থেকে বড় নাম অবশ্যই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল অদিতি সিংহের। এদিকে গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই তালিকা নাকি বাংলায় খুব শীঘ্রই দীর্ঘ হতে চলেছে। বাংলার একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন।