এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা আতঙ্কের মাঝেই কি এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে ডেঙ্গু? আমপান পরবর্তী বাংলায় বাড়ছে আশঙ্কা

করোনা আতঙ্কের মাঝেই কি এবার ঘুম ওড়াতে চলেছে ডেঙ্গু? আমপান পরবর্তী বাংলায় বাড়ছে আশঙ্কা


চলতি বছরের মে মাসের শুরু থেকেই ওটা রাজ্যজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন শহর এবং শহরতলি অঞ্চলগুলোর নিচে অংশগুলোতে ইতিমধ্যেই জল জমে রয়েছে। কার্যত করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর আক্রমণ নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে শিলিগুড়ি তথা রাজ্যের অন্যান্য জেলা গুলি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জুন মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গ বর্ষার আগমন ঘটে। গত বছর মে মাসে বৃষ্টি না হয় এই বছর মে মাসের শুরু থেকেই বর্ষা রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত মোট পরিমাণ ২৪০.৮ মিলিমিটার এবং বৃষ্টির পরিমাণ ১৪.২ মিলিমিটার। সূত্রের খবর সরকারি তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষার মরশুম থাকবে। জানা গেছে মে মাসে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন শহরের নিচু অংশ,ডোবা, খাল, বিভিন্ন পরিতক্ত পাত্রে জমে থাকা জল, টায়ারের মধ্যে জমে থাকা জল ইত্যাদির মধ্যে ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে এই আশঙ্কা নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় বিরোধীদলগুলো। গত বছর শিলিগুড়িতে অক্টোবর মাসে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বেশ কয়েকজন মানুষ এবং প্রায় হাজারের উপর মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এমনটাই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের। জানা গেছে শিলিগুড়ি এবং রাজ্যের বিভিন্ন শহরের নিচু এলাকাগুলিতে ডেঙ্গু আক্রমণের প্রবণতা বেশি থাকার কারণে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু দমনে সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা।

তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য হাইড্রেন,নালা,খাল,ডোবা,পরিতক্ত পাত্র,টায়ার ইত্যাদি তৎপরতার সাথে পরিষ্কার করতে শুরু করে দেওয়া উচিত। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ঘোর বর্ষা নামার আগেই রাজ্যে করোনা দমনের পাশাপাশি মশার আঁতুড়ঘর ভেঙে ফেলার জন্য মশা মারার স্প্রে, তেল ইত্যাদি ডেঙ্গু প্রবণ এলাকাগুলিতে ব্যবহার করা উচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে এদিকে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই পুরসভার কাছে ডেঙ্গু দমনের জন্য সাহায্য চেয়েছেন কিন্তু করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার কারণে ডেঙ্গু দমনের ক্ষেত্রে পুরসভার তরফে কোনো তৎপরতা মেলেনি। তার বক্তব্য করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা করার জন্য‌ও পুরসভার তৎপর হওয়া উচিত।

জানা গেছে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে কয়েক মাস আগেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সেই মুহূর্তেই করোনা আবহ শুরু হয়। কার্যত ১৩৩ ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যগণ ইতিমধ্যে এলাকার বিভিন্ন অংশে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজে নিযুক্ত হয়ে গেছে। এই কারণেই ডেঙ্গু দমনের জন্য প্রয়োজনীয় জমে থাকা জল বের করা, মশার তেল এবং মশার স্প্রে ইত্যাদি এলাকায় ছড়ানো এই সমস্ত কাজের দিকে তারা কোন ভাবে নজর দিতে পারছে না।

জানা গেছে এদিকে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি এবার ডেঙ্গু মোকাবিলার অ্যাকশন প্ল্যান চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের এক সদস্য এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু দমনের জন্য তৎপর হতে গেলে আরো অতিরিক্ত লোক বলের প্রয়োজন হবে।

এমনকি এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে ডেঙ্গু দমনের বিষয়ে কোনরকম নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তার বক্তব্য অনুযায়ী রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি না করলে পুরসভার দিকে অভিযোগ তুলে কোন লাভ হবে না। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করার পরেই সুপরিকল্পিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকবলের দ্বারা ডেঙ্গু দমনের পরিস্থিতি সামলানো যাবে এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গেছে এদিকে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে শুধুমাত্র শিলিগুড়ি নয় গোটা রাজ্যেরই বিভিন্ন জেলার নিচু অংশগুলি আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে পারে আগামী বর্ষাতে। তাই ডেঙ্গু দমনে তৎপর না হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপও মানুষের জীবনহানির কারণ হয় উঠতে পারে। ফলে, করোনা আতঙ্ক এমনিতেই ঘুম উড়িয়েছে, তার উপরে আমপানের ধাক্কা জীবন করেছে দুর্বিষহ! কিন্তু এসবের মাঝেই এবার ডেঙ্গু আতঙ্কে কাঁপতে শুরু করল বাংলা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!