রাজ্য সরকারের ‘টেকনিক্যাল ভুলই’ কেন্দ্রীয়হারে ডিএ পেতে আশা বাড়াচ্ছে – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য September 3, 2018 কথায় আছে, “আশায় বাঁচে চাষা” – কিন্তু এবার আর কোনো চাষবাসের সাথে যুক্ত কেউ নন, আশার আলো নতুন করে চোখে লেগেছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। সম্প্রতি ডিএ মামলায় আদালতের রায় প্রসঙ্গে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা – আর তার মুখ্য কারণ হল তাঁদের যেসব সহকর্মী দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ে রাজ্য সরকারের ইয়ুথ হস্টেলে বর্তমানে কর্মরত। সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চে এই ডিএ মামলা চলার সময় রাজ্যে কর্মরত সরকারি কর্মীরা এই বঙ্গভবন ও ইয়ুথ হস্টেলের কর্মরত একই রাজ্য সরকারের কর্মীদের সঙ্গে ডিএর বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার তাঁদের নিজস্ব যুক্তি তুলে ধরে। রাজ্যের তরফে বলা হয়, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মুদ্রাস্ফিতীর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাই তার সাথে দিল্লি ও চেন্নাইয়ের কর্মীদের পরিস্থিতির তুলনা করা অনুচিত। তবে রাজ্যের এই যুক্তি খন্ডন করে ডিএ মামলার রায়ের ৭৮ নম্বর অনুচ্ছেদে হাইকোর্ট জানায়, “সারা দেশে কর্মীদের ডিএ নির্ধারনের জন্য কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপরই ভরসা করা হয়। তাই এই বিভিন্ন হারের ডিএ কখনও গ্রহনীয় হতে পারে না”। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই দাবি পূরনে এখন স্যাটের ওপরই ভরসা রাখতে হবে। কেননা স্যাটে এই সংক্রান্ত নথিপত্র আগে পেশই করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তাই ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী এখন স্যাটের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে সকলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বাম সরকারের আমলেই দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ে রাজ্য সরকারের ইয়ুথ হস্টেলের রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রিয়হারে ডিএ দেওয়ার প্রচলন হয়েছিল। ফলে কেন্দ্রের তরফে বর্ধিত ডিএ ঘোষনা হলেই – দিল্লী ও চেন্নাইয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএর জন্য আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ দপ্তর। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য – রাজ্য সরকার যদি দিল্লি বা চেন্নাইয়ের কর্মীদের রাজ্যের হারেই ডিএ দিয়ে, তাঁদের জন্য কোনো ‘আউট-স্টেশন ভাতা’ দিতেন, তাহলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয় নি। ফলে, দিল্লিতে বা চেন্নাইয়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারী যদি বাংলায় ফেরত আসেন তখন কি হবে? সরকারি কর্মচারীদের নিয়ম অনুযায়ী – বেতন কমানো যায় না। অর্থাৎ, বাংলায় ফেরত এলেও ওই কর্মীরা কেন্দ্রীয়হারে বেতন পাবেন। কিন্তু মজার কথা হবে – তাঁর সহকর্মীরা পাবেন রাজ্যের হারে বেতন। মানে একই পদে, একই যোগ্যতার একই কাজ করা দুই ভিন্ন ব্যক্তির বেতন বিভিন্ন। যা ‘টেকনিক্যালি’ কোনোমতেই ঠিক নয়। তাহলে এর সমাধান কি? যেহেতু দিল্লির বা চেন্নাইয়ের কর্মীদের বেতন কামানো যাবে না আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে ডিএও বেতনের অংশ – তাই সমাধান একটাই – রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদেরও কেন্দ্রীয়হারে বেতন দিতে হবে। ফলে, সবমিলিয়ে ডিএ মামলায় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের এখন আশা বা ভরসা সেই দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইয়ুথ হস্টেলের কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে পাওয়া ডিএ। সেই অনুযায়ীই এই ডিএ মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মামলাকারীরা – তাঁদের এই আবেদনের ভিত্তিতে এখন স্যাট কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে সব পক্ষ। আপনার মতামত জানান -