এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যারা আজ নীতি শেখাচ্ছে তারাই এরপরে আর স্বাধীনতা দিবসে থাকবে না! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা

যারা আজ নীতি শেখাচ্ছে তারাই এরপরে আর স্বাধীনতা দিবসে থাকবে না! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন আর বেশি দূরে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবছরের স্বাধীনতা দিবস রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা দিবসকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকটি দলই নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাধা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বরাবরের মতন শাসক দল তৃণমূল এবছরেও রেড রোডে স্বাধীনতা দিবস পালন করে পতাকা উত্তোলন করে। এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তৃণমূল দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু রেড রোডে স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়েও এদিন তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, পরের বছর স্বাধীনতা দিবসে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। এরপরে রাহুল সিনহা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, মানুষ খুন ও কাটমানি নেওয়াই তৃণমূলের মুখ্য নীতি। অন্যদিকে এদিন তিনি দাবি করেছেন, আগামী বছর রেড রোডের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা তুলবে বিজেপি।

এদিন বিজেপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। রাজ্য বিজেপি অফিসের সামনে এদিন দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু এবং জয়প্রকাশ মজুমদার ও অন্যান্যরা। একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করানো থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এদিন রাজ্যজুড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক হিংসার বলি যেসব বিজেপি কর্মীরা হয়েছেন তাঁদেরকে শহীদ আখ্যান দিয়ে এদিন সম্মান জানায় বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, জেলার বিজেপি নেতারা এদিন রাজনৈতিক শহীদদের বাড়িতে যান এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, করোনা পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবির সমস্ত নিয়ম মেনে চলছে তো? এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন রাহুল সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, দলের সমস্ত কর্মসূচি সামাজিক দূরত্ব মেনেই হচ্ছে। যদিও এমন অনেক ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে, যেখানে করোনা বিধি-নিষেধ পালন করা হয়নি। যেমন- এদিন বাগবাজারে বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজন হয় ভারত মাতার পুজো। এবং সেখানে নিয়ম না মেনে ভিড় করেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থকসহ বহু মানুষ।

যদিও পুজোর আয়োজক বিজেপি নেতা ব্রজেশ ঝাঁ জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব মেনেই এই অনুষ্ঠান হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভার নির্বাচনে যাতে কোনরকম ফাঁকফোকর না থাকে, তার জন্য প্রতিটি মুহূর্তকে এখন কাজে লাগাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সে ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন তাঁদের কাছে অন্যতম একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব মিলেছে। অন্যদিকে রাহুল সিনহার মন্তব্য ঘিরে অবশ্য এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আপাতত আগামীর দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের প্রধান দুই দলই যে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে কথা পরিষ্কার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!