এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আগামী ১০ তারিখের পর ‘কাজ’ শুরু হবে! অনুগামীদের শুভেন্দু অধিকারী বার্তা দিতেই শুরু জল্পনা!

আগামী ১০ তারিখের পর ‘কাজ’ শুরু হবে! অনুগামীদের শুভেন্দু অধিকারী বার্তা দিতেই শুরু জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি নীরবতা পালন করছেন। কিন্তু তার এই নীরবতা পালনকে কেন্দ্র করেই সবথেকে বেশি জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। আগামী 10 অক্টোবরের পর সমস্ত কাজ শুরু হবে বলে কর্মীদের জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বিপদে পড়েছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারীর উপর।

স্বাভাবিকভাবেই যে শুভেন্দু অধিকারী বিগত বাম আমল থেকে দলকে শুধু দিয়ে এসেছেন, তাকে সাংগঠনিক দায়িত্বে বসাবে এবং গুরুদায়িত্ব দেবে বলে আশা করেছিলেন তার অনুগামীরা। তবে সাম্প্রতিক কালে তৃণমূল যখন সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে, তখন সেই শুভেন্দু অধিকারীর ডানা অনেকটাই ছেটে দেওয়া হয়েছে। গুরু দায়িত্ব দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টে যে সমস্ত জায়গায় তিনি পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বে ছিলেন, সেই সমস্ত জায়গা থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, পর্যবেক্ষক পদটাই তুলে দেওয়া হয়েছে।

আর এরপর থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। দলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে সরকারের কোনো কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। উল্টে তার অনুগামীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর ছবি যুক্ত পোস্টার দিয়েই নানা কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছিলেন। যার ফলে সেই শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। যদিও বা প্রথম থেকেই সেই সমস্ত বক্তব্যকে নস্যাৎ করে দেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। কিন্তু এভাবে তার নীরবতা থাকার কারণ কি, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে।

তবে এর মাঝেই হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই দলীয় কার্যালয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা দাদার সঙ্গে দেখা করার জন্য আসতে শুরু করেছেন। কি হবে রাজনৈতিক পদক্ষেপ? কেমন ভাবে চলতে হবে! তার পরামর্শ নেওয়ার জন্য সকলেই শুভেন্দু অধিকারীর কাছে আসছেন। অবশেষে এই ব্যাপারে মুখ খুললেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নিজের অনুগামীদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন কিচ্ছু হবে না। যা কাজে নামার তা 10 অক্টোবরের পরে নামা হবে। আর রীতিমত তারিখ বেঁধে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, এখন তা নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি আগামী 10 অক্টোবরের পড় বঙ্গ রাজনীতিতে বড়সড় ঝড় উঠতে চলেছে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন তা একমাত্র তিনিই জানেন। দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না পাওয়ার পর তার অনুগামীদের আচরণ কিছুটা হলেও সকলের মনে জল্পনা সৃষ্টি করেছিল। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ কথা বলেন, সেখানে তার ছবি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর ছবি এবং স্লোগান দিয়ে যেভাবে তার অনুগামীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন, তাতে শুভেন্দুবাবু পৃথকভাবে পথ চলবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিষ্কার ভাষায় তিনি অনুগামীদের জানিয়ে দিলেন, যা করার তা 10 অক্টোবরের পর করা হবে। অনেকে বলছেন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী 10 অক্টোবরের পর প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন! নাকি যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে?

অনেকে আবার এটাও বলছেন, তৃণমূল বা বিজেপি কোনো দলেই যোগ দেবেন না শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের মত করে নতুন দল খুলে দুই রাজনৈতিক দলকেই চাপে ফেলে দিতে পারেন। তবে কি করবেন তিনি, তা কেউ জানেন না। সবটাই জল্পনার পর্যায় রয়েছে। কিন্তু আগামী 10 অক্টোবরের পর যে বঙ্গ রাজনীতিকে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে বড়সড় ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ইঙ্গিত পাওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের ফলে আগামী দিনে বঙ্গ রাজনীতি কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে আগামীদিনে শুভেন্দু অধিকারী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!