100 দিনের কাজ নিয়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে! বাড়ছে অস্বস্তি! উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- তৃণমূলের সবথেকে বড় বিরম্বনা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কখনও গ্রামের ক্ষমতা দখল, আবার কখনও বা 100 দিনের কাজ বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই 100 দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম গীতালদহে। জানা গেছে, সোমবার সকালে গীতালদহ 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খারিজা হরিদাসে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমতো বচসা তৈরি হয়। আর তারপরেই তা হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হয়। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি এই ঘটনায় গুলি চলে বলেও জানা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে এলাকাকে শান্ত করে। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক আক্রান্তকে কোচবিহার এবং দুজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধল? বারবার যেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সেখানে কেন তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারছে না! একাংশের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই গীতালদহে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তৃণমূল বনাম তৃণমূলের সংঘর্ষ প্রতিনিয়ত বোমা, গুলির লড়াই প্রত্যক্ষ করেছিলেন এখানকার মানুষ। তবে বেশ কিছুদিন ধরে গন্ডগোল কিছুটা হলেও বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি 100 দিনের কাজের ভাগ নিয়ে প্রধান আবু আল আজাদের সঙ্গে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরোধ তৈরি হয় বলে খবর। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এই অশান্তি বলে দাবি করছেন একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “আবু আল আজাদ তাদের এলাকার কাজ নিজের ভাই ও ভাগ্নেকে দিয়ে করাচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষকে কাজ দিতে পারছি না। এভাবে চলতে পারে না। তাই নিয়ে বিরোধ চলছে।” যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের প্রধান আবুআল আজাদ। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে 100 দিনের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। একটি চিটফান্ডের এজেন্টের সঙ্গে পাওনাদারদের গন্ডগোল ছিল। দুপক্ষ আলোচনা করে বিরোধ মিটিয়ে নেয়। আসলে অপপ্রচার চালিয়ে কিছু লোক আমার নামে কুৎসা রটাতে চাইছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবেই যদি সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটতে থাকে, তাহলে একদিকে যেমন এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হবে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই অশান্তি সামনে এলে মানুষ তৃনমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদল এখন গীতালদহের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -