এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে গেল প্রকাশ্য মঞ্চেই, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে গেল প্রকাশ্য মঞ্চেই, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে দলের খারাপ ফলাফলের পর বেশ কিছু জেলার সাংগঠনিক রদবদল করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় জলপাইগুড়ি জেলাও। এতদিন সেইখানে সৌরভ চক্রবর্তী দায়িত্বে থাকলেও তারই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কিষান কল্যানীকে লোকসভা নির্বাচনের পর দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। যার ফলে সেই জলপাইগুড়ি জেলায় প্রাক্তন বনাম বর্তমানের দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করেছিল রাজনৈতিক মহল।

আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই কিষান কল্যাণী এবং সৌরভ চক্রবর্তীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই সমালোচক মহলের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে তারা দুজনেই দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। দুজনে একত্রিত হয়ে কাজ করছেন বলে দাবি করেছিল। কিন্তু সেই সমস্ত দাবি আর খাটল না।

কেননা সোমবার কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের অনুষ্ঠান মঞ্চে একসঙ্গে সেই কিষান কল্যাণী এবং সৌরভ চক্রবর্তীকে দেখা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সৌরভবাবু সেই মঞ্চ ছাড়ায় জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন লাটাগুড়িতে অনুষ্ঠিত কিষান ক্ষেতমজুরের জেলা সম্মেলনে প্রথমে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায় বর্তমান জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণী এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীকে। কিন্তু কিষান কল্যাণী তার পাশে বসার মিনিট খানেক পরেই মঞ্চ ছেড়ে সেখান থেকে চলে যান সৌরভ চক্রবর্তী। যার ফলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলছেন, পাশাপাশি বসেও একে অপরের সঙ্গে একটি বাক্যলাপও করেননি তারা। আর এথেকেই বুঝতে কারও বাকি নেই যে, প্রাক্তন আর বর্তমানের দ্বন্দ্ব এখনও জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবলভাবে রয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সৌরভ চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নাগরাকাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় করম পুজোর আমন্ত্রণ থাকায় আমি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে কিষান কল্যানীকে বলা হলে তিনি বলেন, “আমি মানুষের পাশে আছি। আমাকে যেকোন সভায় ডাকলেই আমি যাই। সৌরভ ব্যস্ত মানুষ। তিনি কেন চলে গেলেন, সেটা তিনিই বলতে পারবেন।” তবে জেলার দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেলেও এদিনের সম্মেলন থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় সভায় উপস্থিত সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্নাকে।

তিনি বলেন, “বিজেপি মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সুড়সুড়ি ছড়িয়েছে। টাকার কাছে আমরা হেরে গিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রচার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিলেই বিজেপি কুপোকাত হয়ে যাবে।” এদিকে এদিনের এই সভায় উপস্থিত জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী দলের বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে কিছুটা সতর্কতামূলক বাক্য প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের এখনও আস্থা রয়েছে। কিছু নেতার ব্যবহারের কারণেই মানুষ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অনেকেই দলের মধ্যে থেকে পেছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করছেন। তারা চিহ্নিত হয়ে গেলে বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।”

আর কিষান কল্যানীর এহেন বক্তব্যের পরই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে কি সৌরভ চক্রবর্তী মঞ্চ ছাড়ার পরই সেই সৌরভবাবু এবং তার অনুগামী শিবিরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কিষাণ কুমার কল্যাণী! সব মিলিয়ে প্রাক্তন বনাম বর্তমানের দ্বন্দ্ব চরমে জলপাইগুড়িতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!