এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে জুলাই কোনো চমক নেই তৃণমূলে! হল না কোনো দলবদল! মনমরা তৃণমূলের অন্দরে!

একুশে জুলাই কোনো চমক নেই তৃণমূলে! হল না কোনো দলবদল! মনমরা তৃণমূলের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের একুশে জুলাই এর শহীদ সমাবেশের মঞ্চ রীতিমতো জমকালো হতে শুরু করে ধর্ম তলায় তৃণমূলের এই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যেমন নৃত্য ও গানের ব্যবস্থা করা হয়, ঠিক তেমনই দলের শ্রীবৃদ্ধিতে জোর দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জগতের মানুষরা ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছর তৃণমূলের এই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের দিকে একটা বাড়তি নজর থাকে রাজনৈতিক মহলের।

কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে ধর্মতলায় তৃণমূলের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভার্চুয়াল সভা হলেও সেখানে এবার বিরোধী দল থেকে কোনো হেভিওয়েট নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারে বলে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা ছড়িয়েছিল।

এক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তার পুত্র শুভ্রাংশু রায় ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করেছিলেন একাংশ। এমনকি তৃণমূলের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা এই ব্যাপারে গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের এই একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান, তার দিকে নজর ছিল সকলের।

অনেকে মনে করেছিলেন, সভার একদম শুরুতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হবে তবে সভা শুরু হয়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখা শুরু করলেও, তেমন কোনও দৃশ্য চোখে পড়েনি। পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যখন প্রায় শেষের দিকে, তখন অনেকেই আশা করেছিলেন, এবার হয়ত সেই মুহূর্ত আসবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য শেষ করে সুব্রত বক্সি সভা শেষ করে দিলেন, অথচ কোনো যোগদান প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হল না তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কদিন ধরে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে যে গুঞ্জন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল যে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সবথেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন, তার কি হল? তাহলে কি তৃণমূল শুধুমাত্র চমক দেওয়ার জন্য এবং তাদের এই ভার্চুয়াল সভার দিকে যাতে সকলের নজর রাখে, তার কারণেই এই গোটা ঘটনা রটিয়েছিল?

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল এই প্রচার করায় আখেরে তাদের আরও ক্ষতি হল, কেননা অনেকেই আশা রেখেছিল। অনেকেই দেখতে চেয়েছিলেন, কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। কিন্তু তা না হওয়াতে সকলেই নিরাশ হয়ে গিয়েছেন। অনেকেই তৃণমূলকে মিথ্যাবাদী ভাবতে শুরু করেছেন। তাই তৃণমূলে যেমন আর এখন কেউ যোগ দেবেন ন না, ঠিক তেমনই তৃণমূল থেকে এখন সকলেই বেরিয়ে আসতে শুরু করবেন।

অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের এই ভার্চুয়াল সভায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ অংশ নেবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে 15 হাজারের উপরে দর্শক সংখ্যা হতে দেখা যায়নি। সেদিক থেকে কিছুটা হলেও চাপ রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। আর তার মধ্যে শত প্রচার করেও তেমন ভাবে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একুশে জুলাই থেকে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা না নেওয়ায় শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!