এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ২৬ নভেম্বরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে – হুমকি বাম সংগঠনের

২৬ নভেম্বরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে – হুমকি বাম সংগঠনের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রে জনস্বার্থ নীতির বিরুদ্ধে দেশের দশটি শ্রমিক সংগঠন ও ফেডারেশনের ডাকে আগামী 26 শে নভেম্বর দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস শিবির একযোগে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম কংগ্রেসের জোটকে বেশ কিছুটা শক্তিশালী করল 26 শে নভেম্বর এর ডাকা সাধারণ ধর্মঘট। সূত্রের খবর, 7 দফা দাবি নিয়ে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ট্রেড ইউনিয়নগুলো অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্রের শ্রমিক ও কৃষক নীতি নিয়ে। অন্যদিকে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস বাম ও কংগ্রেসের ডাকা 26 শে নভেম্বর এই বনধ মানছে না বলে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হবে। আর তাতেই এবার বাম সংগঠনগুলি পাল্টা হুমকি দিয়েছে, 26 শে নভেম্বরের ধর্মঘট রক্ষার চেষ্টা হলে তা অবশ্যই প্রতিরোধ করা হবে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন মনে করছে, দেশের প্রায় কুড়ি কোটি মানুষ এই ধর্মঘটে সামিল হবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ধর্মঘট প্রশাসন যদি না মানে তাহলে তার প্রতিরোধ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সিটু সম্পাদক অনাদি সাহু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, শ্রমিক ও কৃষকেরা এই ধর্মঘট ডাকছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড মূলত ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফেলেছে শ্রমিক এবং কৃষকদের।

বলা হচ্ছে, করোনা মহামারীতে মানুষের গড় আয় যেখানে কমে গিয়েছে, সেখানে কিন্তু মোদি সরকার সে অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পাল্টা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ইতিমধ্যেই বেসরকারিকরণ করার দিকে এগিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে রাজ্য সরকার ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ধর্মঘটের ইস্যুকে সমর্থন করেনি বলে রীতিমতন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্য সিটু সম্পাদক অনাদি সাহু। সে ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার যদি সিটুর ডাকা বনধ রুখতে যায়, তাহলে তা মোটেই সফল হবে না। কারণ ধর্মঘটীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এর প্রতিবাদ করবে। অন্যদিকে আইএনটিটিইউসি নেতা কামরুজ্জামান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কোনভাবেই ধর্মঘটীদের বিভ্রান্ত করা যাবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার আজ সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। এই বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতারাও ধর্মঘটের ব্যাপারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আগামী 26 শে নভেম্বর বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ধর্মঘটের দিন রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা নামবেন ধর্মঘট করতে বাধা দিতে। এ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বনধের ইস্যুগুলিতে সমর্থন করলেও তৃণমূল বনধ কিংবা ধর্মঘটকে কোনভাবেই সমর্থন করছে না।

উপরন্তু, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লকডাউনের সময় মানুষের কাজের ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। এর পরেই নতুন করে বনধ ডেকে একটি শ্রমদিবস নষ্ট কোনভাবেই করতে দেওয়া যাবে না। তবে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, দেশের দশটি কেন্দ্রীয় বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা ধর্মঘটকে অধিকাংশ কৃষক সংগঠন এবং একাধিক রাজনৈতিক দল সমর্থন জানিয়েছে। আর সেই জোরেই এবার বাম সংগঠনগুলো তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে পাল্টা হুমকি দিল 26 শে নভেম্বরের ননধ অসফল করতে এলে পাল্টা রাজ্য সরকারের বা শাসকদল তৃণমূলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা হবে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!