এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনার থাবায় প্রাণ গেল রাজ্যের ২য় ব্যক্তির, সাধারনের মনে তুলে দিল অনেক প্রশ্ন!

করোনার থাবায় প্রাণ গেল রাজ্যের ২য় ব্যক্তির, সাধারনের মনে তুলে দিল অনেক প্রশ্ন!

রাজ্যে এবার দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হল করোনার হানায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীকে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গবাসীকে আতঙ্কিত করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কালিম্পঙের এক বাসিন্দা। আর এবার সাধারনের মনে শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে গতকাল রাত দুটো নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বছর ৪৪-এর ওই মহিলার মৃত্যু কিন্তু সাধারনের মনে অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এতদিন ধরে সাধারণ মানুষের মনে একটা ধারণা ছিল – করোনাতে বেশি ভয় ৬০ বছরের উর্ধে থাকা মানুষ জনের। কেননা এই মারণ ভাইরাস – যাঁদের ইমিউনিটি কম, তাঁদেরই বেশি করে আক্রমন করছে। কিন্তু ৫০-এর নীচে যাঁদের বয়স, তাঁরাও যে আর সুরক্ষিত নন, এই মৃত্যু যেন তা আরও স্পষ্ট করে দিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও প্রসঙ্গত, ওই গৃহবধূ নিজের কন্যার চিকিৎসার জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত ১৬ ই মার্চ তিনি কালিম্পঙে নিজের বাড়িতে ফেরত আসেন। আর তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অর্থাৎ, এই সময়ে যাঁরা ট্রেনে বা বিমানে যাত্রা করেছেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু না জেনেই করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসে থাকতে পারেন। ফলে, এই সময়েই কি গোষ্ঠী সংক্রমণের বীজটা পোঁতা হয়ে গিয়েছিল? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

যাইহোক, তাঁর পরিবারের তরফে স্থানীয় চিকিৎসকের উপরেই আস্থা রাখা হয়। কিন্তু, তাঁর অসুস্থতা ক্রমশ বাড়ছিল, পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল শ্বাসকষ্ট। এরফলে গত ২৫ শে মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাই বেলেঘাটা নাইসেডে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠালে, তিনি করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন। কিন্তু, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গতকাল রাত্রে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মৃতার মেয়ে ও গৃহ চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

*ছবিটি প্রতীকী

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!