এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সর্বাত্মক পুলিশি শক্তি দিয়ে গেরুয়া শিবিরের নাবান্নমূখী প্রতিটি মিছিলই রুখে দিল প্রশাসন!

সর্বাত্মক পুলিশি শক্তি দিয়ে গেরুয়া শিবিরের নাবান্নমূখী প্রতিটি মিছিলই রুখে দিল প্রশাসন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে চাপে ফেলার জন্য নবান্ন অভিযানের ব্যবস্থা করেছিল। এই নবান্ন অভিযান ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে গেরুয়া শিবির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রস্তুতি যখন সারা ঠিক সেই সময় গতকাল সন্ধেবেলা হঠাৎ করে নবান্নের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় আজ এবং কাল দুদিনের জন্য নবান্ন বন্ধ থাকবে জীবাণুমুক্ত করার জন্য। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়, তাহলে কি তৃণমূল পাল্টা চাপে ফেলার জন্য নবান্ন বন্ধ করে দিল?

কিন্তু বিজেপি তাতে পিছু হটেনি। বরং আজকে জোরদারভাবে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয় সকাল থেকে। কলকাতার বিভিন্ন দিক থেকে নবান্ন অভিযান হবে সে কথা আগেই জানা ছিল। সেই অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি সত্বেও ব্যাপক আকারে বিজেপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন মিছিলে অংশ নিতে। যদিও প্রশাসন এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু গেরুয়া শিবির অনুমতির প্রত্যাশা না করেই মিছিল শুরু করে।

যথারীতি এই মিছিল ঘিরে শুরু হয় তান্ডব। কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। যদিও তাতে বিজেপি অনড় মনোভাব দেখিয়েছে। তাঁরা প্রতিরোধ থাকলেও জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড ভাঙা থেকে শুরু করে পুলিশের ওপর হামলা চালানো কিছুই বাদ দেয়নি। কিন্তু পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলেই গেরুয়া শিবির রণে ভঙ্গ দেয়। হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ, হেস্টিংস সর্বত্র এদিন ব্যারিকেড করে রেখেছিল রাজ্যের প্রশাসনিক দপ্তর। ব্যবস্থা ছিল জলকামানের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশাসনিক দপ্তর থেকে র‍্যাফ এবং বিশাল আকারে পুলিশ নামানো হয়। মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাঁতরাগাছিতে প্রথম গন্ডগোল শুরু হয়। সেই মিছিলে ছিলেন সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোসহ অন্যান্যরা। ব্যারিকেড ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ শুরু করে রং মেশানো জলের স্প্রে এবং তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই মিছিলে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

শুধু তাই নয়, আগ্নেয়াস্ত্রসহ মিছিল থেকে এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তিনি বিজেপি যুব নেতা তেজস্বী সূর্যের ঘনিষ্ঠ। একইভাবে হাওড়া ব্রিজের ওপরেও শুরু হয় গেরুয়া তান্ডব। সেখানে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। পুলিশের লাঠির ঘা তাঁকেও খেতে হয়। হেস্টিংস এলাকাতেও বিজেপির মিছিল ঘিরে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে ঘিরে কাঁচের বোতল, ইঁট বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরেই পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে শুরু করে লাঠিচার্জ। মিছিল সেখানেই আটকে যায়।

আজকে এত কাণ্ড করেও নবান্ন পর্যন্ত কিন্তু পৌঁছাতে পারলে না গেরুয়া শিবির। গেরুয়া শিবিরের মিছিলে পুলিশের বাধা ঘিরে ইতিমধ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতারা। তাঁরা পাল্টা কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি করেছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের যুক্তি, করোনা পরিস্থিতিতে এত বিপুল পরিমাণ জনসভা ও মিছিল কখনোই কাম্য নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের যা করা উচিত, তাই করা হয়েছে। উপরন্তু গেরুয়া শিবিরের অনেকেই যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে যোগদান করেছিলেন, বিজেপি কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারিতে সে দাবি আরও জোরদার হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!