মমতা, পিকে কি ফেল?এবার মানুষের কাছে দলকে শক্তিশালী করার পরামর্শ নিচ্ছেন নেতারা, শোরগোল রাজ্যে! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের কাছে ব্যাপক ধাক্কা খাবার পর বাংলার মাটিতে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে শাসকদল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই জনগণের মন পেতে তৃণমূল শিবির থেকে প্রশান্ত কিশোরের চিন্তা ভাবনার উপর ভিত্তি করে ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচি চালু করেছিল শাসকদল। তার ফলে তৃণমূল উপনির্বাচনের হাত ধরে কিছুটা জমি ফেরত পেয়েছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন এবং লড়াই অনেক বেশি কঠিন। তাই এবার গ্রামবাংলায় জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে তৃণমূল গ্রামে গঞ্জের মানুষের কাছে পৌঁছাতে ‘গ্রামে চলো’ জনসংযোগ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন এবং সেইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী কিভাবে করা যাবে তারও পরামর্শ শুনছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত পাঁচজন বিশিষ্টজনের কাছ থেকে এই পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ এসেছে দলীয় নেতৃত্ব থেকে। সাধারণ মানুষের প্রতিটি সুপারিশ নথিভুক্ত করে রাখছেন জেলার নেতারা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্যই ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল শিবিরের পরিকল্পনা 10 দিনে অন্তত পাঁচ হাজার গ্রামবাসীর কাছে পৌঁছানোর। ‘দিদিকে বল’ জনসংযোগ কর্মসূচী লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে যেভাবে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে, সেদিকে নজর রেখেই এবার তৃণমূলের তরফ থেকে দ্বিতীয় দফার উদ্যোগ হলো ‘গ্রামে চলো’ অভিযান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সমস্ত সুবিধা-অসুবিধা যেমন দেখা হচ্ছে একদিকে, সেরকমই করোনা পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে গ্রামবাসীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, সে কথাও প্রচার করা চলছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের ক্ষতিকর দিকগুলি এবার তুলে ধরা হচ্ছে মানুষের কাছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। মনে করা হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল নেতাদের জনপ্রিয়তা বর্তমানে কোথায় এসে ঠেকেছে, তা নিরীক্ষণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার জনগণের একটা বড় অংশ গ্রামাঞ্চল অধিবাসী। সেক্ষেত্রে গ্রামের জনসাধারণকে পাশে টানতেই তৃণমূল শিবিরের এই নতুন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশ যত এগিয়ে আসছে, ততই জনমত নিজেদের দিকে টানতে আরো বেশি তৎপর হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। তাই এবার বাংলার মসনদ দখল করার উদ্দেশ্যে তৃণমূল শিবির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এবার সাধারণ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাদের প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য তো পিকে ও তাঁর টীম কাজ করছেন মাঠে নেমে পড়েছেন মমতাও, তবে আবার জনগণ কেন পরামর্শ দেবেন? তবে কি এবার ফেল মমতা ও পিকে ? যদিও এর উত্তরে তৃণমূলের দাবি জনগণই বলতে পারবেন তারা কি চান তৃণমূলের থেকে তাই জানতে চাওয়া হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -