এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > প্রিয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ? মুখ ফুটে বলতে ভয় পাচ্ছেন? এইভাবে বললে সম্পর্ক অটুট রেখেই ফল পান

প্রিয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ? মুখ ফুটে বলতে ভয় পাচ্ছেন? এইভাবে বললে সম্পর্ক অটুট রেখেই ফল পান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্পর্কের মান-অভিমান যেমন দুটি মানুষকে কাছে নিয়ে আসতে সাহায্য করে এবং ভালোবাসার ন্যূনতম প্রকাশ হিসাবে সামনে আসে, তেমনই মান-অভিমান কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে দিতেও যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন অনেকে। হয়তো আপনি কি চাইছেন বা আপনার কোনটা পছন্দ নয়, তা সামনের মানুষটিকে বোঝাতে না পারলেও সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

বস্তুত, মানুষের স্বভাব হিসাবে মানুষকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এক ধরনের মানুষ হয়, যারা সকলের সাথে মিশতে পছন্দ করেন, সকলের সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করেন। আর এক ধরনের মানুষ হয়, যারা কিনা একেবারে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না, নিজের মধ্যে ডুবে থাকতে পছন্দ করেন, আর কথাও কম বলেন সেই তুলনায়।

আর আরেক ধরনের মানুষ আছে, যারা কিনা এই দুইয়ের মাঝামাঝি একটি সামঞ্জস্য রেখে চলা মানুষ। যারা খুব বেশিও কথা বলেন না, খুব কমও কথা বলেন না। যাদের মধ্যে পার্সোনালিটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। তবে যে মানুষটির সঙ্গে আপনি রয়েছেন, তার সঙ্গে আপনার পছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা খারাপলাগা ভাগ করে নেওয়াতে সম্পর্কের বাঁধন যে অনেক বেশি শক্ত হয়, সে কথাই মনে করেন অনেকে।

তবে অনেকেই এই কথার সঙ্গে সহমত হবেন যে, আপনার মনের মানুষটিকে আপনার পছন্দের অপছন্দের কথাটা বললেও তিনি মোটেই তা গ্রাহ্য করেন না। ফলত দিনদিন সঙ্গীর ওপর অভিমান বাড়তেই থাকে, যা কিনা পরবর্তীকালে গিয়ে সম্পর্কে চিড় ধরাতে যথেষ্ট সক্ষম হয়। তবে এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি পড়েন তবে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন, যে আপনার সঙ্গীর হয়তো আপনার কোন কথা ফেলতেই পারছেন না।

এক্ষেত্রে প্রথমেই একটি কথা আসে তা হল সময় সুযোগ বুঝে কথার উপস্থাপনা। বাড়িতে বড়দেরকে অনেক সময় বলতে শোনা যায় যে, সব সময় সবাইকে সব কথা বলা যায় না। তার কারণ একটাই, প্রতিটা মানুষের জীবনেই নিজেদের মতো কর্মব্যস্ততা থাকে। সেই সঙ্গে সবসময় সকলের মন মেজাজ সমান থাকে না।

তাই আপনি যে আঙ্গিকে কথাটি বলতে চাইছেন, সেই সময় হয়তো সেই মানুষটি সেই কথা শোনার মতো মানসিক পরিস্থিতিতেই নেই। তাই আপনার বিপরীতে থাকা মানুষটি কোন সময় সহজ ভাবে থাকেন, সেই সময়টা বুঝে নিয়ে তারপরেই তার সামনে আপনার কথার উপস্থাপনা করুন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত একটি কথা বুঝতে গেলেও একটি মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। তাই সব সময় আপনি সঠিক কথা বললেও সেই কথাটিকে সঠিক ভাবে বিচার করার মানসিক পরিস্থিতি কিন্তু সকলের মধ্যে থাকে না। তাই প্রত্যেকের উচিত সময় সুযোগ বুঝে কথার উপস্থাপনা করা।

দ্বিতীয়ত যারা অভিনয় করেন, আবৃত্তি করেন অথবা পারতপক্ষে সাহিত্যের মানুষ, তাদের কাছে ভাষার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার বলেই বলা যেতে পারে। কারণ শব্দের গুরুত্ব কতখানি একথায় ওনারা প্রত্যেকে নিশ্চয়ই নিজের জীবন উপলব্ধি করে থাকবেন। বস্তুত একটি ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে, সহজ কথায় বলতে গেলে একটি কথা বলার জন্য অনেক রকম ভাবে তা বলা যায়।

ফলত একটি বাক্যই অভিমানের সুরে, ভালোবাসা মিশ্রিত ভাবে, আবার আগের মতন করেও বলা যায়। আর বলার আঙ্গিকে বাক্যের অর্থ বদলে যায়। আপনি কিভাবে কথার উপস্থাপনা করছেন, এক কথায় আপনারা অ্যাপ্রোচটা যদি ঠিক থাকে, তবে আপনার সঙ্গী আপনার কথা ফেলতে পারবে না বলেই মনে করেন অনেকে।

সেইসঙ্গে সম্পর্কে সবসময় “আমি”র বদলে “আমাদের” কথাটিকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। আমি এটি করলে ভালো লাগবে, তার জায়গায় আমরা বা আমাদের এটা করা উচিত, এই কথা বললে আপনি যে সামনের মানুষটির কথা ভেবেও কোন একটি সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন, সে কথায় হয়তো আপনার সঙ্গীর মনে বিষয়টিকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে নিজের মনে একটি কথা জেনে রাখবেন সবসময়, আপনার যেটা পছন্দ বা আপনার যেটা দরকার, সেটি আপনাকেই আদায় করে নিতে হবে। ফলত কোন ক্ষেত্রে যদি কোন জিনিসে আপনি অস্বস্তিবোধ করেন তবে সেটা বলার ১০০% অধিকার আছে আপনার। কারণ সকলের আগে আপনার কাছে আপনার গুরুত্বটাই প্রধান।

তবে যেহেতু আমাদের প্রত্যেককে নিয়ে চলতে হয়, তাই নিজের সঙ্গে নিজের সঙ্গীর কথা ভাবাটাও একইরকমভাবে প্রাসঙ্গিক। তাকে সঙ্গে নিয়ে আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে। তাই নিজের লক্ষ্য থেকে কখনোই ভ্রষ্ট হলে চলবে না। ধৈর্য ধরে, শান্ত মনে, আপনার সঙ্গীকে বোঝান। নিশ্চয়ই আপনার সঙ্গী আপনার মনের কথাটি বুঝতে সক্ষম হবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!