অবশেষে মমতা-গুরুং নতুন ‘সখ্যতা’ নিয়ে মুখ খুললেন কৈলাশ-মুকুল, রাজ্যে উঠতে চলেছে রাজনৈতিক ঝড়? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে বিমল গুরুং আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরার কথা জানিয়েছেন তিনি। আর এমত পরিস্থিতিতে এতদিন বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা বিনয় তামাং পাহাড়ের সমস্ত দায়িত্বে থাকলেও, বিমল গুরুংকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকার পাহাড়ের রাজনীতিতে সক্রিয় করতে শুরু করেন, তাহলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আবার অশান্তি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমত পরিস্থিতিতে এবার পাহাড় নিয়ে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। যেখানে পাহাড়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বলে সরব হলেন এই দুই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিকভাবেই এবার পাহাড় নিয়ে বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলায় তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই চাপে পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, “পাহাড় আবার জ্বলবে। নতুন করে পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুংকে নিয়ে যে জটিলতা তিনি তৈরি করছেন, তার সমাধান কোথায়, তিনি নিজেই জানেন না। বিমল গুরুংকে নিয়ে স্থায়ী সমাধান না হলে পাহাড়ে সমস্যা আরও বাড়বে।” এদিকে মুকুল রায়ের পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও আক্রমণ করতে দেখা গেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। এদিন তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুর্সির লোভে বিমল গুরুংকে আশ্রয় দিতে চাইছেন। সেই কারণে পাহাড়কে অশান্ত করতে চাইছেন তিনি।” পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বর্তমানে পাহাড় নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার। কেননা এতদিন বিনয় তামাং পাহাড় সামলালেও বিমল গুরুং এখন সেই পাহাড়ে সক্রিয় হতে শুরু করায় কোন গোষ্ঠীকে নিয়ে পথ চলা হবে, তা নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তারা যে কোনো মতেই সমঝোতা করে নেবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা। আর এমত পরিস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়ে পথ চলার পক্ষে রাজ্য সরকার সওয়াল করলেও, পাল্টা এদিন মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। যা নিঃসন্দেহে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে আজকের আলোচনা সদর্থক হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পুরো এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যেভাবে পাহাড় নিয়ে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন, তাতে শাসকদলের বিড়ম্বনা ক্রমশ বাড়বে বলেই দাবি একাংশের। আর এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুংয়ের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ফের অশান্ত হতে পারে পাহাড়। আর যদি সেই ঘটনা ঘটে, তাহলে আগামীদিনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পাহাড় ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের ওপর আরও বেশি করে চাপ বাড়াতে দেখা যাবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -