ধানের নামেও ‘মমতা’! বিঘের পর বিঘে চাষ করে সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কায় এখন মাথায় হাত চাষীদের! বিশেষ খবর মেদিনীপুর রাজ্য November 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একে করোনা কাঁটা, অন্যদিকে চাষ করে মাথায় হাত পূর্ব মেদিনীপুরের গলসি-১ নম্বর ব্লকের লোয়াপুর ও কৃষ্ণরামপুর অঞ্চলের চাষিদের। জানা গিয়েছে, স্বর্ণ প্রজাতির ধান চাষ করে প্রায় চারশো বিঘা জমিতে ফলন হারানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে। অধিক ফলনের আশায় কেউ পাঁচ বিঘা, কেউ দশ বা পনেরো বিঘা জমিতে মমতা স্বর্ণ ধান চাষ করেছিলেন। বস্তুত,এই খরিফ মরশুমে ভালো ফলনের আশায় অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে, এমনকি মহাজনের থেকে দাদন নিয়েও চাষ করেছিলেন। কিন্তু আশা মত মরশুমের শেষে ফলন দেখতে না পেয়ে হতাশ হতে দেখা গেছে এলাকার চাষিদের। তাঁদের কথায়, সময়মতো সব পরিচর্যা করে, এমনকি সেইসঙ্গে জমিতে সমানে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও ধানের ফলন হয়নি। ফলত মাথায় হাত পড়েছে এলাকার কয়েকশো চাষির। ধান ফলানের পর চালের পরিবর্তে আগরা তৈরি হয়েছে। আর সেখানে দেখা গেছে বেশির ভাগ জমির ধানেই সাদা শিস হয়েছে। ফলত মাঠের দিকে তাকালে সোনালী আভার জায়গায় চোখে পড়ছে কাশফুলের আভা। আর তাতেই চোখ ভিজেছে চাষিদের। এই ঘটনাতে কৃষ্ণরামপুরের এক বাসিন্দার কথায় হাহাকার শোনা গেছে। যেখানে ভালো ফলনের জন্য চড়া দামে ভালো জাতের মমতা স্বর্ণ ধানের বীজ কিনে জমিতে চাষ করেছিলেন, সেখানে ফলন ভালো হয়নি। এখন কী করে সংসার চালাবেন, তা ভেবে মাথায় হাত ওই ব্যক্তির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ওই এলাকারই অন্য এক চাষির কথায়, বগা আটকানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন তিনি। তবুও কিছুতেই সুরাহা হয়নি। একদিকে যেখানে ধার দেনা করে চাষ করেছেন, সেখানে সেই দেনা কীভাবে শোধ করবেন বা সংসারই বা কী করে চালাবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। ভেবে দেখেতে গেলে একদিকে করোনা আর লকডাউনের জেরে কাজ প্রায় বন্ধ। ফলত অন্য উপায়ে বাইরে থেকে উপার্জনের রাস্তা এখন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় প্রকৃতি এরূপ বিরূপ হওয়ায় সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড় হয়েছে এলাকার চাষিদের। ফলত বর্তমান পরিস্থিতি থেকে কি করে বাঁচবেন, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সব চাষিই। এব্যাপারে গলসি-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জানিয়েছেন মাঠে গিয়ে তাঁরা সব দেখেছেন। মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। ধানের ফলন একেবারেই হবে না। জানা গেছে, এই ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার মাঠ পরিদর্শনে আসেন সরকারি কৃষি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের সিনিয়র কৃষিবিজ্ঞানী। ওই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র কৃষিবিজ্ঞানী আজিজুর রহমান, গলসি-১ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা অরিন্দম দানা সহ অন্যান্যরা। তাঁরা নমুনা হিসেবে জমি থেকে মাটি ও ধান সংগ্রহ করেছেন বলেও জানা গেছে। সেই সঙ্গে ঘটনা দেখে বা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -