এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জরুরী দিবসকে কালা দিবস পালন করা নিয়ে এবার কি করবে সিপিএম? মিত্রতা না বিরোধীতা কোন দিকে যাবে তাঁরা?

জরুরী দিবসকে কালা দিবস পালন করা নিয়ে এবার কি করবে সিপিএম? মিত্রতা না বিরোধীতা কোন দিকে যাবে তাঁরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যে বর্তমানে কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক। দুই দলই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়েছে। যদিও দুই দলই এবারের বিধানসভা নির্বাচর শূন্যে শেষ করেছে। একটিমাত্র আসন তাঁদের আরেক সঙ্গী আইএসএফ পেয়েছে। এই অবস্থায় এবার একটি ধর্ম সংকটে পড়েছে বামেরা। শুক্রবার ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার 46 তম বর্ষপূর্তি। প্রসঙ্গত 1975 সালের 25 শে জুন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সারাদেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। আরেই জরুরী অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশজুড়ে মানুষের ওপর প্রশাসনিক নিপীড়ণ চলে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে চিরকালীন বিতর্ক রয়ে গিয়েছে।

এই দিনটিকে কয়েক বছর আগেও নিয়মিতভাবে কালা দিবস হিসাবে পালন করত সিপিএম। কিন্তু 2016 সালে যখন এবং কংগ্রেস জোট বাঁধে, তখন থেকে এই দিনটি পালন করা বন্ধ করে দেয় সিপিএম। গতবছর অবশ্য সিপিএম এর কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তাই নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। কিন্তু এবার কি হবে তা নিয়েই এখন সিপিএমের বিশেষ চিন্তা। আর তার কারণ কিছুদিন আগেই বাম নেতা তথা রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সাঁইবাড়ি কান্ড নিয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেসী গুন্ডা শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। যথারীতি এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য সরাসরি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে ফোন করে জবাবদিহি চান। এমনকি প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কার্যত শোকজ চিঠিও দেওয়া হয় সূর্যকান্ত মিশ্রকে। প্রশ্ন তোলা হয়, বিকাশ ভট্টাচার্য্য যে মন্তব্য করছেন তাতে কি সিপিএমেরও সমর্থন রয়েছে? যদি তা না হয় তাহলে বিকাশ ভট্টাচার্য সিপিএমে থেকে এধরনের কথা লিখলেন কি করে? যদিও এই নিয়ে কোনো পাল্টা উত্তর আলিমুদ্দিন দেয়নি বলেই জানা গেছে। আর তাই মনে করা হচ্ছে, 25 শে জুন ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আবার পোস্ট করা হয় তাহলে কিন্তু সিপিএম-কংগ্রেসের বিরোধীতা অবশ্যম্ভাবী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সিপিএমের অন্দরে শোনা যাচ্ছে, এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস এই প্রত্যেকটি দলকে দ্বিচারিতার অভিযোগে বিদ্ধ করা হতো। কিন্তু এখন বাংলায় সিপিএম গত পাঁচ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার দরুণ একই অভিযোগে বিদ্ধ। বিকাশবাবুর পোস্ট নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে আলোচনা হলেও সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের ওই পোস্টকে যেমন পুরোপুরি সমর্থন ঙ্করেননি, তেমন বিরোধিতাও করেননি। বরং তিনি বলেন, তথ্যগতভাবে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে একমত তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের কথা না ওঠাই ভালো। প্রসঙ্গত সিপিএমের মধ্যেই কংগ্রেসকে নিয়ে দু’রকম পন্থা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে নরমপন্থী এবং চরমপন্থীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বারংবার ফুটে উঠেছে তা। গত বছর 1লা জুলাই থেকে বাম কংগ্রেস জোট নিয়ে কথা বলা শুরু হয়। সেসময় বিধান রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিন উপলক্ষে সুজন চক্রবর্তীদের বিধান ভবনেও উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা গিয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত সিপিএমের যে অভিযোগ ছিল বিধান রায়কে নিয়ে সেই কথা ভুলে বরং বিধান রায়কে বাংলার রূপকার বলে কথা বলতে হয়েছে। অন্যদিকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের জরুরি অবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা চললেও বর্তমানে বিজেপি দেশজুড়ে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চালু করেছে বলে মনে করছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

এই পরিস্থিতিতে 25 শে জুন বামেরা আদৌ কোন প্রতিবাদ করেন কিনা সেদিকে যেমন বামেদের নজর থাকবে, ঠিক সেভাবেই কংগ্রেসের নজরও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাম কংগ্রেস যেভাবে সখ্যতা গড়ে তুলেছে নিজেদের মধ্যে, সেদিকে তাকালে মনে করা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে কোনো বিতর্ক তৈরি হোক তা চাইছেন না কেউই। গতবছর বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তাতে দুই শিবিরেই প্রশ্ন উঠেছে। তাই এবার অনেক সাবধানী পদক্ষেপ নেবে সিপিএম।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!