এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > নিজের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতন, খুনের চেষ্টার অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

নিজের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীকে নির্যাতন, খুনের চেষ্টার অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে


সুশাসনের বার্তা দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই কোনোভাবে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের নেতাদের দ্বারা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। যাতে নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এর ফলে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।

আর এবার প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী শ্রাবণী মল্লিকের ওপর নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রথীন মল্লিক। জানা গেছে, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা রথীন মল্লিকের বয়স 61 বছর। প্রায় 34 বছর ধরে শ্রাবণীদেবীর সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। কিন্তু মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির বিষয়টি সামনে আসে। তবে সম্প্রতি নিজের স্ত্রীকে নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অবশেষে শুক্রবার আগাম জামিন পান রথীন মল্লিক। জানা গেছে, গত 27 এপ্রিল নিজের স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন রথীনবাবু। নিজের স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে এই ঘটনার পরেই শ্রাবণী মল্লিক বর্ধমান মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর অস্বস্তিতে পড়েন এই তৃণমূল নেতা।

পরবর্তীতে তাকে যাতে কেউ গ্রেপ্তার করতে না পারে, তার জন্য গত 4 মে বর্ধমান জেলা আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানিতে তার আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সূত্রের খবর, এদিন আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দত্তের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুজনেই শিক্ষক। একজন অবসরপ্রাপ্ত এবং একজন বর্তমান। যেহেতু সম্পর্ক ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই 61 বছর বয়সে জেলে গেলে তা নষ্ট হয়ে যাবে।

আর তাই আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই তৃণমূল নেতার জামিন হয়ে গেলেও যেভাবে নিজের স্ত্রীকে নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে, তাতে সমাজে তাঁর ভাবমূর্তি অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন সকলে। শুধু তাই নয়, এই তৃণমূল নেতার কুকীর্তির ফলে শাসকদলও অনেকটা চাপে পড়ল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সবমিলিয়ে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নিজের স্ত্রীর উপরেই নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!