এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চিন্তা বাড়িয়ে বিক্ষুব্ধ আর এক বিধায়ক, ক্ষোভে দলত্যাগের হুমকি হেভিওয়েট নেতার!

মমতার চিন্তা বাড়িয়ে বিক্ষুব্ধ আর এক বিধায়ক, ক্ষোভে দলত্যাগের হুমকি হেভিওয়েট নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার তৃণমূলে বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তার অনুগামী এক নেতাকে সিঙ্গুর ব্লক কমিটির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এবার প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল প্রবীণ এই তৃণমূল বিধায়ককে। পাশাপাশি দল যদি সিদ্ধান্ত বদল না করে, তাহলে দলত্যাগও করতে পারেন তিনি বলে জানিয়ে দিলেন সকলের প্রিয় মাস্টারমশাই।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের একাধিক বিধায়ককে দলের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিগত দিনে যে সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই আন্দোলনের অন্যতম ক্ষুরোধা সিঙ্গুরের চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের এইভাবে সরব হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ঘুম যে অনেকটাই উড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা কমিটি এবং সিঙ্গুর সহ 31 টি ব্লক কমিটি এবং টাউন কমিটি ঘোষণা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সিঙ্গুর ব্লক কমিটির সভাপতি থেকে বাদ দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত মহাদেব দাসকে। আর এর পরেই প্রকাশ্যে সরব হন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, “দলের এই ব্যবহার আমি আশা করিনি। দল আমার প্রতি প্রথমদিকে সম্মান দেখিয়েছিল। ইদানিং দলের ব্যবহারে আমি ব্যথিত। যারা নানা দুর্নীতিতে জড়িত, তারাই এখন দল পরিচালনার কাজে যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। আর আমরা যারা কোনোরকম অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নই, তাদেরই দল কোণঠাসা করে দিচ্ছে।”

এদিকে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দলকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গেছে প্রবীণ এই তৃণমূল বিধায়ককে। তিনি বলেন, “আমার সভাপতিকে দল যেভাবে সরিয়ে দিল, তা কখনই মেনে নেব না। আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। দল যদি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করে, প্রয়োজনে অন্য দলে যাওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছি।” আর এখানেই প্রশ্ন, যদি শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথবাবু দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সিঙ্গুরের মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপকভাবে চাপে পড়বে।

কেননা এই রবীন্দ্রনাথবাবুর হাত ধরেই সিঙ্গুরে নতুন করে জায়গা করে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, এই সিঙ্গুরের জন্য রাজ্যে পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে সভ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের এই ক্ষোভ শাসক দলকে যে অনেকটাই বিড়ম্বনায় ফেলবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে সেই দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। শুধু তাই নয়, এক সময় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথাও শুনিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আর এবার তার অনুগামী ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ায় রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে দলকে সতর্কবার্তা দিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। যদিও বা দলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথবাবুর মান ভাঙানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষে সব হয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু দলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি দলকেই জানাতে পারতেন। তা না করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। উনিও নাম দিয়েছিলেন। ওর দেওয়া নামটি সম্ভবত বাদ গিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি দলের কোনো নেতা এককভাবে করেননি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “আমি এই বিষয়ে সিঙ্গুরের বিধায়ক এবং মহাদেববাবুর সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, ওরা দলের অনুশাসন মানবেন।” তবে শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রবীন্দ্রনাথবাবুর মানভঞ্জন আদৌ সম্ভব হয়, নাকি বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করে দলবদলের মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেন সিঙ্গুরের এই তৃণমূল বিধায়ক, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!