করোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে এবার তৎপর আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলি,চলছে মগজধোলাই আন্তর্জাতিক November 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা বিশ্বজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আজে ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করার চেষ্টা করে চলেছে, আর তা সবার জানা। ইতিমধ্যেই নজরে আসার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিভিন্ন বিষয়কে কাজে লাগাচ্ছে। মানুষ হত্যা জঙ্গীদের কাছে জল ভাতের মতন। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক জাগিয়ে যে করোনা পরিস্থিতি হাজির হয়েছে, এবার সেই পরিস্থিতিকেও নিজেদের কাজে লাগানোর চেষ্টায় জুটেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো প্রচার চালাচ্ছে, পশ্চিমী দেশগুলির ওপর এবং অমুসলিম জনজাতিদের ওপর শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ করোনা পাঠিয়েছে। এ ধরনের ভ্রান্ত চিন্তাধারার প্রচার করে কিছু মানুষের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেট এ ধরনের বার্তা ক্রমাগত ছড়িয়ে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মাধ্যমে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা নাকি আল্লাহর সৈনিক। ইউরোপের দেশ এবং অমুসলিম জনজাতিদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই এই ভাইরাস আল্লাহ পাঠিয়েছে। তাই শত্রুদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেবার কথা বলছে জঙ্গী সংগঠনগুলি, যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে বিবেচিত হচ্ছে। জেহাদী সংগঠন আল শাবাব আবার দাবি করেছে, বিদেশি হানাদার বাহিনী এবং তাঁদের সমর্থকদের দ্বারাই বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী ছড়িয়েছে। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই ভারত কিন্তু করোনা জেহাদের বিষয়টি তুলে ধরেছিল। গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন ডিজিপি দিলবাগ সিং ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের কাশ্মীর উপত্যকায় পাঠানোর ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। উদ্দেশ্য একটাই- যাতে ভারতে করোনার জীবাণু আরো বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, শ্রীনগর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে গান্ধেরওয়ালের কাছে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দিলবাগ সিং। এবং সেখান থেকে ঘুরে আসার পরেই তিনি এই মতামত প্রকাশ করেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে জঙ্গি আসত এদেশে। কিন্তু এবার জঙ্গিদের পাশাপাশি পাকিস্তান করোনা আক্রান্তদের ভারতে পাঠিয়ে সংক্রামিতর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর চিন্তাভাবনা বলেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের হলেও প্রশাসন সবসময় সতর্ক রয়েছে। প্রসঙ্গত, জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় নিজেদের স্বার্থ কায়েম করতে ভুল তথ্য প্রচার করতে থাকে। কিন্তু করোনা নিয়ে যেভাবে তাঁরা অবৈজ্ঞানিক তথ্য ছড়িয়ে মগজ ধোলাই করে জঙ্গি বাহিনী তৈরি করছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেক্ষেত্রে বিশাল আকার জনজাতির কাছে পৌঁছানোর জন্য জঙ্গিগোষ্ঠীরা বেছে নিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। আপনার মতামত জানান -