এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর মনের কোনায় এখনও তৃনমূল!

শুভেন্দুর মনের কোনায় এখনও তৃনমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ছোটো গল্পের একটা পরিশিষ্ট রয়েছে। গুন বিবেচনা করতে গিয়ে বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রায় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, একদা তৃণমূলের যুব সভাপতি পরবর্তীতে বাংলার মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দল পরিবর্তন। গত 19 ডিসেম্বর নিজের পুরনো দল তৃনমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে পদ্মফুল শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দুবাবু। শিবির পরিবর্তনের প্রথম দিন থেকেই তৃনমূল কংগ্রেসকে চড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীকে।

শুধু রাজনৈতিকভাবেই আক্রমণ নয়, ব্যাক্তিগত স্তরেও নামে-বেনামে তৃনমূলের পরিবারতন্ত্রকে বারবার আক্রমন করেন শুভেন্দু অধিকারী। একাধিক সভা থেকে তিনি মন্তব্য করেন, “এই দলে ছিলাম, এটা আমার লজ্জা।” কিন্তু প্রায় কুড়ি -বাইশ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক কি অত সহজেই মুছে ফেলা যায়! রসিক বাঙালিরা বলেন, “বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও পূর্বস্মৃতি অত সহজেই মুছে ফেলা যায় না।” তাই হাল সময়ে প্রাক্তন তৃনমূল কংগ্রেস তথা বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেতার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাবহৃত পেজে নিজের সম্পর্কে তথ্যের জায়গায় রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃনমূল কংগ্রেস লেখা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলবেন, তথ্য সংশোধন করতে কিছুটা তো সময় লাগবেই। 19 ডিসেম্বর থেকে 15 জানুয়ার সম্পূর্ণ একমাসও হয়নি প্রভাবশালী এই নেতার দল পরিবর্তনের। এর মাঝেই কি সবখান থেকে নিজের পুরাতন পরিচয় মোছা সম্ভব! অনেকে বলছেন, এনাদের কথাও যথেষ্ট বাস্তবসম্মত। বাস্তব অর্থে ঘটনাটা কিন্তু খুব একটা বেশি চমকপ্রদ নয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ের নিরিখে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ঘটনাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। যে বাংলায় একদা নিজের রাজনৈতিক দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠে যেত, সেই বাংলায় বর্তমানে সম্পূর্ণ বিপরীত রাজনৈতিক বিচারধারায় যোগদান করাটাও জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, দল পরিবর্তন, দলে প্রত্যাবর্তন, ডিগবাজি, ঘর ওয়াপসি একথার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পরিচিত ছিল না। কিন্তু সকলকে অবাক করে প্রত্যেকদিন খবরের কাগজের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় পাতায় এই ঘটনা এখন সবার নজর কাড়ছে। তাই অতি উৎসাহীদের একশ্রেনী বলতে শুরু করেছেন, খুব সামান্য হলেও নিজের পুরাতন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেতুবন্ধন রাখলেন নাকি শুভেন্দুবাবু! যেখানে দল পরিবর্তনকে “গদ্দারি” বলা হয়, সেখানে পরিবর্তন হোক বা প্রত্যাবর্তন, নেতাকে কোনো না কোনো যুক্তি দেখাতেই হয়।

তাই নিন্দুকেরা বলছেন, যদি কখনও ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে, তাহলে তিনি যুক্তি দেখাতে পারবেন, “অভিমানের কারনে দলের নামে খারাপ কথা বললেও মনের এককোনায় কিন্তু দলটা রয়েই গিয়েছিল। তার প্রমাণ আমার এই ফেসবুক পেজ।” যদিও আধিকারিক স্তরে এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, এই যুক্তিকে খন্ডন করার বহু রাস্তা তার কাছে খোলা রয়েছে। তবুও তিলকে তাল করা বাঙালির কাছে এখন যথেষ্ট রসাস্বাদনের খোরাক যোগাচ্ছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!