একমুখী দলবদল রুখে এবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে আগমন, খুশীর হাওয়া তৃণমূল শিবিরে তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য February 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে যে প্রসঙ্গ প্রাধান্য পাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে, তা হলো দলবদল। এই মুহূর্তে যে একমুখী রাজনৈতিক দলবদল চলছে, অনেকেই একে পালাবদলের ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন। কারণ রাজ্যের শাসক দল থেকে বেশির ভাগ নেতা-কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। তবে এবার সামনে এল উল্টো ছবি। গেরুয়া শিবির থেকে এবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন বিজেপি কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হবিবপুরে। জানা গিয়েছে, বিজেপির এসটি মোর্চার প্রাক্তন জেলা সম্পাদক বেশ কয়েকজন কর্মীসহ বিজেপি ছেড়ে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। যা ভাঙনের কালে ঘাসফুল শিবিরের কাছে অন্যতম সুখবর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 2016 বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী খগেন মুর্মুর বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে। গত নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী খগেন মুর্মু পেয়েছিলেন 64 হাজার 095 টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে পেয়েছিলেন, 41 হাজার 656 টি ভোট। পরবর্তীতে তৃণমূল থেকে খগেন মূর্মু যোগ দিয়েছেন গিয়ে বিজেপিতে। বর্তমানে তিনি মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ। এরপর খগেন মূর্মু সাংসদ হবার পরে হবিবপুর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জুয়েল মুর্মু। পেছনে ফেলেছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের অমল কিস্কু এবং সিপিএমের সাধু টুডুকে। কিন্তু বিজেপির এই উত্থানের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক প্রদীপ বাস্কে দলত্যাগ করায় প্প্রবল অস্বস্তির মুখে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। দলবদলের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রদীপ বাস্কে জানিয়েছেন, তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দলে তাঁর গুরুত্ব ক্রমশ কমে আসছিল। অন্যদিকে এই দলবদল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, বিজেপি থেকে প্রদীপ বাস্কে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সংগঠন আরও বেশি শক্তিশালী হলো। এক্ষেত্রে বিজেপি আবার জানিয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির জেরেই দল ছেড়েছেন প্রদীপ বাস্কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল-বোঝাবুঝি কেটে গেলে ওই নেতা আবার দলে ফিরে আসবেন। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই দলবদলের ঢেউ লাগছে রাজ্যের সর্বত্র। উঁচু থেকে নীচু সর্বস্তরে চলছে দলবদল। জানুয়ারির শুরুতেই তেহট্ট চাঁদেরঘাট পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান এবং উপপ্রধান তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর কারণ অবশ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলে খবর। আবার, বসিরহাটের স্বরূপনগরে বিজেপির মতুয়া শিবিরে দেখা যাচ্ছে বড়সড় ভাঙন। অতএব রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে তৃণমূল থেকে যে হারে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ শুরু হওয়া খুব স্বাভাবিক। পাশাপাশি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই যেভাবে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, তাতে আদি বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। এছাড়া গেরুয়া শিবিরের আদি এবং নব্য নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে কলহের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সব দিক থেকে বিচার করলে তৃণমূলের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরেও কিন্তু দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে পারছেনা। আর সে কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে দিন দিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এক্ষেত্রে কিন্তু এবার পাল্টা দলবদলের সূত্রপাত হতে পারে গেরুয়া শিবিরে। আপনার মতামত জানান -