মেয়রের ‘লাখ-লাখ-কোটি-কোটি’ টাকার উৎস নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন তাঁর স্ত্রী
স্ত্রী রত্না দেবীর বিরুদ্ধে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ কে পূর্ণ সমর্থন করে , মেয়রের বন্ধু ও শুভাকাঙ্খী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন , “তাঁর অত্যাধিক ‘লোভ-লালসা’র কারণেই ‘শোভনদা’কে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ।” পালটা জবাবে মেয়র পত্নী রত্না দেবী বললেন , তাঁর (রত্না চট্টোপাধ্যায়ের) অর্থনৈতিক কারণেই যদি সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে ইডি-র এ বিষয়টি শোভনবাবুকে জিজ্ঞেস করার কথা। কিন্তু এসব বলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসাচ্ছেন । রত্না দেবী আরও বললেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি মেয়রের ‘লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা’ উড়িয়েছেন। “কিন্ত একজন মেয়র-মন্ত্রীর কাছে এত টাকা কোথা থেকে আসতে পারে? ” তিনি সংবাদমাধ্যম কে এও জানালেন যে জেরার সময় তিনি তাঁর নিজের ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আয়ের সম্পূর্ণ তথ্যই ইডিকে দিয়ে এসেছেন। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগের আদৌ কোনো ভিত্তি নেই তা বোঝাতে রত্না দেবী বললেন, “২২ বছরে আমি নিজে কখনও কোনওদিন কোনও গয়না কিনিনি। যত গয়না আছে সেগুলি সব শোভনবাবু-ই বিবাহবার্ষিকী ও অন্যান্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিয়েছেন।” তিনি নিজের জন্যে কখনও একটি শাড়ি ও কেনেননি বলে এদিন দাবি করেন। রত্না দেবী বলেন, পুজোর সময় মেয়রই তাঁকে একটার জায়গায় তিনটে শাড়ি কিনে দিতেন। বরং তিনিই তখন মেয়রকে এর জন্য আপত্তি জানাতেন। দাম্পত্য সম্পর্কের এতো দ্বন্দের পরেও মেয়র পত্নী এদিন জানালেন এত কিছুর পরে ও তিনি বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বললেন , ” যা হচ্ছে, পুরো বিষয়টাই নোংরামো হচ্ছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ” বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মেয়রের বন্ধুত্বের সম্পর্কের বিষয়ে রত্না দেবী বললেন , ” বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আর পাঁচটা ‘বন্ধুর মত বন্ধু’ হয়ে থাকেন, তবে তাঁর আপত্তির কোনও কারণ নেই। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের জন্য যেন কোনও বিচ্ছেদ না হয়!”