এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট ঘোষণার পরেই মমতার সুরে সুর মেলালেন শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!

ভোট ঘোষণার পরেই মমতার সুরে সুর মেলালেন শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের ডিসেম্বর মাসের 19 তারিখ তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী‌। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সাফ করে দেবেন বলে হুশিয়ারি দিতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রাক্তন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার সাথে সাথেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরের সঙ্গেই সুর মেলাতে দেখা গেল তারই প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান প্রতিপক্ষ টিমের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখন আদ্যপ্রান্ত কটাক্ষ করতে ব্যস্ত শুভেন্দুবাবু, সেই তিনি নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর কেন এরূপ পরিবর্তন হলেন? কেন হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরের সঙ্গে সুর মেলাতে দেখা গেল তাকে? কিন্তু কোন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুর মেলালেন শুভেন্দু অধিকারী? বলা বাহুল্য, গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে তিনি প্রার্থী। তাই তাকে দেখে যেন জনতা জনার্দন ভোট দেন। আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও সেই কথা শোনা গেছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়।

অন্যদিকে বিজেপি এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রীতিমতো আদাজল খেয়ে নেমেছেন। নির্বাচনের আগে প্রতিটি জায়গায় সভা করে নিজের প্রাক্তন দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের প্রাক্তন নেত্রী যেভাবে প্রতিটা বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছেন, সেই একই কথা বলতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বাংলা দখলের লড়াই করতে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাতনের সভা থেকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী প্রার্থী বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নিজেকে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বলে মানুষের ভোট আদায় করতে মাঠে নেমেছেন, ঠিক একই কায়দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই তৃণমূল নেত্রীকে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরের সঙ্গে সুর মেলাতে শুরু করেছেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন দাঁতনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভায় মানুষ যেন নরেন্দ্র মোদীকে দেখে ভোট দেন।” বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই কথা বলে কার্যত কৌশলী পথ অবলম্বন করার চেষ্টা করলেন। এক্ষেত্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর তাদের দলে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিক ব্যক্তি প্রার্থী হতে চেয়ে বিজেপির কাছে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কোনো কেন্দ্রে একজন প্রার্থী হলে তাকে নিয়ে অপরপক্ষ আপত্তি জানাতে পারে। যার ফলে তৈরি হতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে গিয়ে যদি সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসে, তাহলে তা যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এবং অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে দলের ক্ষেত্রে, তা ভালোই বুঝেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই নিজের প্রাক্তন নেত্রীর স্ট্যাটেজি অনুসরণ করে সাফল্য পেতে এবং তৃণমূলকে কুপোকাত করতে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী প্রার্থী বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এক্ষেত্রে যেমন তৃণমূলকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি, ঠিক তেমনই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যাতে সাফল্য আনতে বাধা না দেয়, তার জন্য কৌশলী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!