এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ট্রেলারে হয়েছিল ভরাডুবি! শেষপর্যন্ত কেমন হল মহেশ, আলিয়া, সঞ্জয়ের বহু-চর্চিত ‘সড়ক-২’? জানুন

ট্রেলারে হয়েছিল ভরাডুবি! শেষপর্যন্ত কেমন হল মহেশ, আলিয়া, সঞ্জয়ের বহু-চর্চিত ‘সড়ক-২’? জানুন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাড়ি বসে বোর ফিল করতে করতে মনে হতেই পারে অনলাইন কিছু মুভি দেখা যাক। সেই মত অ্যাপ খুলে যদি মনে পড়ে ‘সড়ক ২’ এর কথা, তবে দেখার আগে একবার রিভিউ দেখে নিলে বোধহয় বেশি ভালো হয়। কারণ হতেই পারে মুভির ফার্স্ট ট্রেলার রিলিজ থেকে যা খেল দেখিয়েছে এটা, সেই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হয়ত ছবি দেখতে দেখতেও উপভোগ হতেই পারে। তবে সেখানে আগে ব্রেক কষে একটু বাকি গল্প জেনে নেওয়া জরুরী। কেননা একে বাড়ি বসে বোর ফিল কাটাতে গিয়ে মুভি দেখে অতিরিক্ত বোর হলে যাচ্ছেতাই কান্ড হবে।

গল্পের গরু গাছে:- যদিও স্যিকুয়াল দিয়ে শুরু হয়েছিল, তাই আশা ছিল আগের মত তেমনটাই ভালো লাগবে।তবে পয়সার খেলা, সম্পত্তি, অন্ধবিশ্বাস, তন্ত্রমন্ত্রকে হাতিয়ার করে সিনেমার প্লট বানালেও অনেক দর্শকদের কাছে এটা ‘সড়ক-২’ না ‘ সরদর্দ২’ তা বোঝা মুশকিল হয়ে গেছে। কারণ সিনেমা দেখতে দেখতে কোনো প্রশ্নের উত্তরই আপনি পাবেন না।

পরিচালনা:- দুদশক পর পরিচালনায় ফিরে আসা মহেশ ভাটকে নিয়ে অনেক আশা ছিল দর্শকদের মনে। কিন্তু সেই আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এখনকার দর্শকরা আর যে সেই বস্তাপচা চিন্তাভাবনা নিয়ে চলে না সে কথা হয়তো পরিচালক কোথাও ভুলে গেছেন। তাই সেই ধরনের চিন্তাভাবনা যদি জলে গুলে খাওয়ানোর পরিকল্পনা পরিচালক করে থাকেন, তবে তা ব্যর্থ হবে সেটাই স্বাভাবিক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিনয়:- অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে ৩জন ব্যক্তির কথা বলতে হয়। প্রথমত বঙ্গতনয় যিশু সেনগুপ্ত অল্প সময়ে হলেও, আলিয়ার বাবার চরিত্রে মনে রাখার মত কাজ করেছেন। দ্বিতীয়ত ভন্ড গুরুজীর চরিত্রে মকরকন্দ দেশপাণ্ডের অভিনয় বিশেষভাবে মনে রাখার মত। আর শেষে আসে সঞ্জয় দত্তের কথা। সবরকম চরিত্রে অভিনয়ের সঙ্গে তিনি যে অভ্যস্ত সেটা বলাই বাহুল্য। গল্পের অনেকখানি অংশ তিনিই এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অন্যদিকে আলিয়া বড্ড বেশী পরিচালকের মনের মত হতে গিয়ে, নিজে যেন কোথায় হারিয়ে গেছেন। আর তার সঙ্গে আদিত্য রায় কাপুরের অভিনয় আরো বেশি প্রাণবন্ত হলে অনেকটা ভালো লাগত।

প্লাস পয়েন্ট:- সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে ভালো লাগা বলতে সিনেমার প্রত্যেকটি গান এবং জে আই প্যাটেলের সিনেম্যাটোগ্রাফি। জিৎ গাঙ্গুলীর সুরে আর অঙ্কিত তিওয়ারির গলায় শেষ পর্যন্ত কিছুটা ভালো লাগা থেকে যায়। সম্প্রতি সঞ্জয় দত্তের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনুরাগীরা। আবার কবে তাঁর কাজ দেখা যাবে সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। তাই তাঁর সম্প্রতি এই কাজটিতে তাঁর অভিনয়ের লোভে একবার দেখতে চাইলেও কিন্তু দেখে নিতে পারেন সিনেমাটি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!