এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > “ফুটবলে আত্মঘাতী গোল বলে একটা কথা আছে। দিদি সেটাই করেছেন, তাঁর ভাষাতেই স্পষ্ট।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

“ফুটবলে আত্মঘাতী গোল বলে একটা কথা আছে। দিদি সেটাই করেছেন, তাঁর ভাষাতেই স্পষ্ট।” – মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ কোচবিহারের রাস মেলার মাঠে জনসভায় যোগদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই জনসভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিলক, গেরুয়া বসনধারী ব্যক্তিদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা রয়েছে। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী খেলতে খুব ভালোবাসেন। ভালোবাসেন তিনি ফুটবল খেলতে। কিন্তু ফুটবলে আত্মঘাতী গোল বলে একটা কথা আছে। মুখ্যমন্ত্রী সেটাই করে ফেলেছেন নির্বাচনী ময়দানে।

প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, শিক্ষকদের নিয়োগ, চাকরি-বাকরি বাদ দিয়ে শুধু তোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার সাধারন মানুষ, বাংলার যুবক, বাংলার কৃষকদের অবস্থা তিনি বেহাল করে দিয়েছেন। তাঁর দলের তোলাবাজরা বাংলা লুট করছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী শুধুই দেখছেন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। ১০ বছর আদিবাসী, চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। কৃষকদের ফড়েরা জেরবার করে দিয়েছে। ১০ বছর ধরে পাচার, অনুপ্রবেশ হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী শুধু দেখছেন। ১০ বছর ধরে অবৈধ খনি, সিন্ডিকেটের ব্যবসা একেবারে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, দু দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। এত শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তিনি গর্ববোধ করতেন। ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। আর এতেই বোঝা যাচ্ছে যে, নির্বাচনে তিনি হারছেন। বিজেপির সভায় অনেকে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এখানে পয়সা দিয়ে লোক আনা হয়। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করলেন, তাঁরা কি টাকা পেয়েছেন বলে এসেছেন? তাদের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী কি তাদের বদনাম করছেন? তারা মুখ্যমন্ত্রীকে শাস্তি দেবেন তো?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ দেখে একজন শিশুও বলে দেবে যে, ১০ ই মের পর তাঁর সরকার বিদায় নিচ্ছে। এখন ইভিএম তার কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তার কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময় এই ইভিএমের পক্ষে তিনি কথা বলতেন। একসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান তিনি। এখন কেন তিনি অন্য কথা বলছেন? আর এতেই বোঝা যায় যে, দিদির খেলা শেষ হয়ে গেছে।

মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী জনসভাতে যা যা বলেছেন, তা যদি তিনি বলতেন, তাহলে তাকেও এতদিনে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পেতে হতো, সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগ ভরে যেত তার সমালোচনাতে। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন মুসলিমদের একজোট হয়ে ভোট দিতে। তিনি যদি বলতেন, হিন্দুরা একজোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দিন, তাহলে সেটা কেমন হতো? প্রশ্ন করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, একটা টেপ এখন ফাঁস হয়েছে। সেখানে এমন কথাবার্তা রয়েছে, যা দিদির ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড। নতুন ট্যাক্স চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা হলো ভাইপো সার্ভিস ট্যাক্স। ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা যেখানে এক মাসে আসছে। তাই বাংলার প্রতিটি কোনা থেকে পরিবর্তনের আওয়াজ আসছে। এরপর এক নতুন স্লোগান এর উদ্ভাবন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বলে শোনা গেলো, “কাটমানি বন্ধ করতে চলুন পাল্টাই। তোলাবাজি বন্ধ করতে চলুন পাল্টাই, তুষ্টিকরণ বন্ধ করতে চলুন পাল্টাই।”

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!