নারদ মামলায় আজ আসবে কোন নতুন চমক? কি হবে ভবিষ্যৎ গৃহবন্দী নেতাদের? কলকাতা বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য May 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ কান্ড ঘিরে এখনো উত্তেজনা চরমে রয়েছে। গত সোমবার সিবিআই এর হাতে 4 হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গ্রেপ্তার হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের নেতা এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাক্রমে, গত শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তে চার বন্দীর জেল কাস্টডির বদলে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ পেয়েছে। অন্যদিকে আজকে সোমবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই চার নেতা মন্ত্রীর বিচার হওয়ার কথা। অভিযোগের শুনানি নিয়ে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে জল্পনা। গত সোমবার গ্রেফতারের সাথে সাথেই নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন এই চার নেতা মন্ত্রী। কিন্তু সেই রাতেই হাইকোর্ট তাঁদের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে। আর তাই নিয়েই এখনো মামলা চলছে। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং আরেক বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই চার নেতা মন্ত্রীকে আপাতত গৃহবন্দী থাকতে হবে। সেই রাতেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়িতে চলে যান ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু অন্য তিন নেতা এসএসকেএম-এ ভর্তি ছিলেন তাঁদের শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার জন্য। তার মধ্যে শনিবার শোভন চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত রিস্ক বন্ড সই করে বাড়ি চলে যান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে আজকে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলা শুরু হওয়ার কথা। নতুন এই বেঞ্চের সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশচন্দ্র ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এই মামলা নিয়ে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই কোভিড পরিস্থিতিতে জেলে বন্দি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পাশাপাশি চারজনের বিরুদ্ধে যখন চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, সে সময় জেলে আটকে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে সিবিআই পাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছে, 4 অভিযুক্ত যেহেতু অত্যন্ত প্রভাবশালী তাই তারা যাবতীয় তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন অতএব জেল হেফাজতই কাম্য। যুক্তি-পাল্টা যুক্তিতে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি জোর সরগরম। পাশাপাশি ত্রৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির উল্লেখ করা হয়েছে। আজকের মামলায় কি হতে চলেছে সে দিকে সবার নজর থাকছে। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নতুন ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গেছে। আপাতত নারদ মামলা যে ক্রমাগত ঘনীভূত হতে চলেছে চরম রহস্যজনকভাবে, সেকথা বলাইবাহুল্য। আপনার মতামত জানান -