এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > 75 টি আসন নিয়ে সরকার গঠন? বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের!

75 টি আসন নিয়ে সরকার গঠন? বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   তাদের লক্ষ্য ছিল, 200 আসন দখল করা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ, এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে প্রচারে এসে দাবি করেছিলেন, এবার বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করছে। কিন্তু ফলাফলে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে। যেখানে তৃণমূলের “খেলা হবে” এবং “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়” এই শ্লোগানে উপর ভরসা রেখে 213 টি আসন তৃণমূলকে দিয়ে সমর্থন করেছে বাংলার মানুষ‌।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর 200 আসন নিয়ে রীতিমত টার্গেট বেঁধে দেওয়া এবং ক্রমাগত রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা বিজেপি নেতারা এই ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছেন ঘরে-বাইরে রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এত কাঠখড় পোড়ানো এবং বহু চেষ্টার পরেও কেন সাফল্য পাওয়া গেল না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তবে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, অন্য রাজ্যের কথা তুলে ধরে রীতিমত বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। যেখানে অন্য রাজ্য হলে 75 টি আসন নিয়ে তারা সরকার গঠন করতে পারতেন বলে জানিয়ে দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

সূত্রের খবর, আজ বাঁকুড়ায় সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে পোড়ামাটির হাটে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। আর তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। তিনি বলেন, “আমরা হয়ত ক্ষমতা দখল করতে পারিনি। কিন্তু অন্য রাজ্য হলে আমরা এই সংখ্যা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারতাম। আমরা 38 শতাংশ ভোট পেয়েছি। 75 জন বিধায়ক আমাদের রয়েছে।” কিন্তু হঠাৎ এই কথা বললেন কেন দিলীপ ঘোষ?

একাংশ বলছেন, অন্য রাজ্যে ঘোড়া কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ভারতীয় জনতা পার্টি। অতীতে দেখা গেছে, যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি, পরবর্তীতে যে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তাদের কাছ থেকে বিধায়ক কিনে সেখানকার ক্ষমতার জোর করে দখল করেছে গেরুয়া শিবির। তবে বাংলায় যে এটা হবে না, তা বুঝতে পেরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই ধরনের মন্তব্য করলেন। যা গেরুয়া শিবিরের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ভোটের প্রচারে যখন বিজেপির হাওয়া চরমে উঠেছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক সভাতেই সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন, দু’শোর বেশি আসনে যেন তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়লাভ করানো হয়। এক্ষেত্রে দু’শোর বেশি আসন না পেলে কিছুটা হলেও যে সমস্যা হতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কার সুর শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। আর তারপর থেকেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, বিজেপি যদি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারে, তাহলে তারা সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে অন্য দল থেকে বিধায়ক নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারে।

তবে ভোটের ফলাফলে ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছানো তো দূরের কথা, দুই অঙ্কের সংখ্যার করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। 77 টি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে তারা। তবে অন্য রাজ্য হলে এই আসন নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করতেন বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে দাবি করলেন, তা নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। এই কথা বলে গেরুয়া শিবিরের বাংলার সেনাপতি ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন পর্যবেক্ষকদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!