এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শহর ছাড়িয়ে বড়োসড়ো থাবা বিস্তার করছে গ্রামে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শহর ছাড়িয়ে বড়োসড়ো থাবা বিস্তার করছে গ্রামে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবছর সার্বিকভাবে দেশের শহরগুলিতে যেভাবে করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল, বেশ কিছু ক্ষেত্রে গ্রামের পরিস্থিতি তুলনায় কিছুটা ভালো ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, তা শহরকে ছাড়িয়ে গ্রামে প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। শহর অঞ্চলে যত দ্রুত সংবাদমাধ্যম পৌঁছাতে পারে, গ্রামাঞ্চলে অনেক ক্ষেত্রেই তার সম্ভাবনা কম থাকে। সেই সঙ্গে প্রত্যন্ত গ্রামে রয়েছে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার অভাব, উপযুক্ত হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চিকিৎসকের অভাব। এই অবস্থায় শহরের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বহু গ্রামেও তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার সংক্রমণ।

সম্প্রতি সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর পক্ষ থেকে এক পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে যে, শহরের করোনা সংক্রমনের অস্বাভাবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চর্চা হয়, কিন্তু গ্রামীণ উপকূলীয় অঞ্চলের যে কি অবস্থা? সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। সম্প্রতি এই রিপোর্ট পাওয়া গেছে যে, একাধিক গ্রামে-গঞ্জে আরো খারাপ করোনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গত মাস থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, করোনা সংক্রমনের দাপটে গত মে মাসে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৫% শহরবাসী। রিপোর্টে জানানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে বহু মানুষের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে সংক্রমণের কারণে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গ্রামে করোনা সংক্রমণ রুখতে সেখানে ৭৬ % ডাক্তার, ৫৬ % রেডিওগ্রাফার, ৩৫ % ল্যাব টেকনিশিয়ানের প্রয়োজন।

এছাড়া, বহু গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলে এর প্রভাব অত্যন্ত বেশি। গত মাসে পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপর্যয়কর ছিল। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত মে মাসে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকাগুলিতে প্রতি সেকেন্ডে ৫৩ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ৫২% মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, যা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মে মাসে গ্রামাঞ্চলে যে পরিস্থিতি দেখা গেছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। বিশ্বে প্রতিদিন যতজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, মাত্র ৬ দিনের মধ্যে তার অর্ধেক সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন দেশের গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে, যা অত্যন্ত ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক।

তবে, আজ অনেকটা স্বস্তি দিয়ে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৬০ জন। গত দু মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ঘটেছে দেশের মোট ২৬৭৭ জন মানুষের। অর্থাৎ, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও কিছুটা লাগাম পড়ানো সম্ভব হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!