অন্তর্বর্তী জামিন পেলেও আশঙ্কা বাড়ছে পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে, আদালতে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ কান্ডে অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট অন্তর্বর্তী জামিনের মঞ্জুরি পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সম্প্রতি, তাঁর হলফনামা নিয়ে আদালতে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, গত ১৭ ই মে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তিনি ছিলেন সিবিআইয়ের হেফাজতে। সেসময় বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার খবর তিনি কিভাবে পেয়েছেন? হাইকোর্টে গতকাল নারদ মামলার শুনানি চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল প্রশ্ন করেন যে, গত ১৭ ই মে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকার পরও বাইরে কি ঘটনা ঘটেছে? তা কিভাবে জানলেন ফিরহাদ হাকিম? এর জবাবে তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানালেন, তিনি যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সে সময় প্রচুর মানুষ তাঁর বাড়ির কাছে ও তাঁর গাড়ির সামনে এসেছিলেন। তিনি হাতজোড় করে ফিরে যেতে বলেছিলেন তাঁদের। তিনি জানালেন, ২০১৭ সালে এফআইআর করা নারদ কান্ডের তদন্তে কোন অসহযোগিতার অভিযোগ আসেনি। তিনিসিবিআই দপ্তরের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরায় থাকা ফুটেজ সামনে আনার আর্জি জানালেন। তিনি জানালেন, সেদিন কোনো মন্ত্রীকে বিশেষ আদালতে বিচারকের এজলাসে যেতে দেখা যায়নি। রাজ্যের আইন মন্ত্রী আদালত চত্বরে গিয়েছিলেন, কিন্তু বিচারকের এজলাসে ছিলেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপরেই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল প্রশ্ন করেছেন যে, নারদ কাণ্ডের অভিযুক্তরা কি করে জানলেন যে, কারা, কোথায় ছিলেন? কারণ, তখন তাঁরা সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন। তাই বাইরে কি ঘটছে? তা কিভাবে জানলেন তাঁরা? কোথা থেকে তথ্য পেলেন? এর জবাবে আইনজীবী জানালেন, তাঁর আত্মীয়েরা সেখানে গিয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে তিনি এসব ঘটনার কথা জেনেছেন। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, বিশেষ আদালতে তিন-চার ঘণ্টা কেউ প্রবেশ করতে পারে নি, এ কথা ঠিক নয়। কারণ সেখানে সশরীরে আবেদন জমা দিয়েছিল সিবিআই। এরপরে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করা হয়। আদালতে অন্য মামলাও চলেছিল। শুধু সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সমস্যা হয়েছে বলে, অভিযোগ করা হয়েছিল। সিবিআই অভিযোগ করেছিল, সেখানে বহু মানুষের ভিড় ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা ঘটেনি। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরও করেনি সিবিআই। তাঁর এই বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন। চার হেভিওয়েট হলেন জননেতা, জনমানসের প্রভাব এর পড়তে পারে, সে ক্ষেত্রে মামলা স্থানান্তর করার ব্যাপারে তিনি কি বক্তব্য রাখতে চান? এর উত্তরে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানালেন, সিবিআই বিষয়টি মেইল করে জানিয়েছিল। সিবিআই কখনো মামলা স্থানান্তর, কখনো বা হাইকোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে সওয়াল করেছে। তিনি কটাক্ষ করে জানালেন, সিবিআই যেন মহম্মদ আলি। কখনো প্রজাপতির মতো উড়ছে, কখনো মৌমাছির মত হুল দিচ্ছে। অন্যদিকে, নারদ কান্ডে অভিযুক্ত ৪ হেভিওয়েটের অস্বস্তি আরও বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ ই মে যখন নারদ কান্ডে অভিযুক্ত ৪ হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন নিজাম প্যালেসের গেটে বহু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলেছিল, বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সে সময় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সেসময় নিজাম প্যালেসের সামনে কেন এই ঘটনা ঘটেছিল? একাধিক প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের মামলা করেছেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদ কুমার সিং। ফলে আরও বিপাকে পড়তে পারেন ৪ হেভিওয়েট। আপনার মতামত জানান -