প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হয়েছে। এবারের একুশে জুলাই যে কিছুটা ভিন্ন হতে চলেছে এবং এবারের একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়ালি সমাবেশ থেকে যে আগামীদিনে সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল বড় ভূমিকা নিতে চলেছে, সেই রকম কিছু বক্তব্য দেবেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করা হয়েছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে সেই সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে।

যেখানে প্রতিবার একুশে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখলেও, এবার সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলতে অন্যান্য রাজ্যের তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সম্প্রচার হচ্ছে, সেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রেখেছেন বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিয়ে আগামী দিনে যে তাদের টার্গেট গোটা ভারত দখল করা, তা বোঝানোর সাথে সাথেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ভিন রাজ্যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে ময়দানে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে অক্সিজেনের ঘাটতির জেরে মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ করে লখনৌয়ের চওড়াহাটে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করা হবে। অর্থাৎ তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে বাৎসরিক বড় কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের দিনে কেন্দ্রের মোদী সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয়কে সামনে রেখে বাংলার বাইরে ছড়িয়ে দিতে লখনৌয়ে তৃনমূলের এই প্রতিবাদ মিছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশের জুলাইয়ের বার্তার পরেই রীতিমতো ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে লখনৌয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল আগামী দিনে তাদের বিস্তারের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একসময় এই একুশে জুলাই থেকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য বার্তা দিতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর তৃণমূলের বাংলা দখলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে 2021 এ তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার ক্ষমতা দখল করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যেও যথেষ্ট সংশয় ছিল। তবুও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির ব্যাপক হাওয়া থাকা সত্ত্বেও, তাকে মিথ্যে করে দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। আর তারপরেই এবারের একুশে জুলাই ভার্চুয়ালি হলেও, তার মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে যে তাদের টার্গেট দিল্লি দখল, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই এবার লখনৌয়ে অক্সিজেনের ঘাটতিতে যে সমস্ত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণ করে জনগণের পক্ষ থেকে একুশে জুলাইয়ের দিনেই বিকেলে মিছিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভিন রাজ্যের তৃণমূলের এই কর্মসূচি কতটা সফলতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।