ছিঃ, চরম লজ্জা! ক্ষমতার দম্ভে চরম ঔদ্ধত্য মমতার মন্ত্রীর! গর্জে উঠলো মাতৃশক্তি! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 25, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিন্দুমাত্র শরীরে মেরুদন্ড থাকলে এবং বিবেক থাকলে কি কেউ এই ধরনের কথা বলতে পারে! ভেবে দেখুন তো! সন্দেশখালিতে কি পরিমাণ অত্যাচার এতদিন সেখানকার মানুষরা সহ্য করেছেন। সব কিছুকেই মিথ্যে ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস? তারা কি এটা ভাবছে যে, সব কিছুকে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে চুপ করে দেওয়া যাবে! তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দুই মন্ত্রীকে সেখানে পাঠিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেও, সেই মন্ত্রী যে কান্ড ঘটিয়ে বসলেন, তাতে আরও একবার প্রমাণিত হলো যে, এই রাজ্যের শাসক দল এই ঘটনাতে একফোঁটাও লজ্জিত নয়। বরঞ্চ তারা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন, যেন এই সন্দেশখালিতে কিছুই হয়নি। কিন্তু যাদের সাথে হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছেন, তারা কিন্তু কোনো ভয়ের কাছে মাথা নত করতে রাজি নয়। তাই মন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই সেই মাতৃশক্তি আরও বেশি করে জেগে উঠতে শুরু করেছে। তাদের একটাই বক্তব্য, তাহলে এখানে এত মন্ত্রী পাঠিয়ে লাভের লাভ কি হলো? তারা যখন উচিত কথা বলছেন, তখন কেন তাদের ওপর এইভাবে কিছু একটা দেগে দেওয়া হলো? প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাসক দল যে অত্যন্ত চাপে রয়েছে, এটা সকলেই জানে। আর এই সন্দেশখালির প্রতিবাদ নিজেদের ক্ষেত্রে কতটা বিপদ হিসেবে এগিয়ে আসছে, সেটা খুব ভালো মতই বুঝতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য সেখানে তার দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুকে পাঠিয়েছিলেন। তারা বিভিন্ন মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু একদল মহিলা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরেই একটা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, শেখ শাহজাহান কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? আর মন্ত্রীদের কাছে এই প্রশ্ন করাই যেন অন্যায় হয়ে গেছে মাতৃশক্তির। তাই সাথে সাথেই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলে বসলেন, “ওনাকে কেউ একটা পাঠিয়েছে!” অর্থাৎ এই রাজ্যের শাসক দল বা তাদের প্রধান যে কারোর কোনো মতামত শুনতে চান না, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হলো। এরা যে বিন্দুমাত্র সহনশীল নয়, সেটা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। সব জায়গায় বিরোধীদের ভূত দেখতে শুরু করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার সেই ভাবনা তার মন্ত্রীর মাথার মধ্যেও ঢুকে গিয়েছে। ফলে সন্দেশখালি যে জ্বলন্ত ইস্যু এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা রাজ্যের মানুষের মধ্যে যে প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে, শেখ শাহজাহান কবে গ্রেপ্তার হবে! সেই প্রশ্ন সেই সন্দেশখালির একজন মহিলা করতেই “তাকে কেউ একটা পাঠিয়েছে” বলে যে জঘন্য মানসিকতার পরিচয় দিলেন এই রাজ্যের মন্ত্রী মহোদয়, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে তারা সন্দেশখালি গেলেন কেন? যখন মানুষের কথা শোনার মতো ধৈর্য তাদের নেই, তাহলে তারা কি শুধুমাত্র মিডিয়ার প্রচার পাওয়ার জন্যই সেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন? পর্যবেক্ষকদের মতে, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু ভেবেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই বা শেখ শাহাজাহানকে নিয়ে কেউ কোনো কথা বললেই তারা একটু ধমক দেবেন, আর তাতে সবাই চুপ করে যাবেন. কিন্তু সন্দেশখালি যেভাবে গর্জে উঠছে, তাতে এখানকার মহিলারা কিন্তু আর কাউকে ভয় পাচ্ছেন না. বরঞ্চ সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা নিয়ে গোটা রাজ্যের প্রতিবাদীরা এখন রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন। তারাও ভাবছেন, যা হওয়ার হবে। কিন্তু এই সরকারকে তাড়াতে হবে। তাই পার্থ ভৌমিক শেখ শাহজাহান নিয়ে প্রশ্ন সহ্য করতে না পারলেও, গ্রামের মহিলারা কিন্তু ছেড়ে কথা বললেন না। মন্ত্রী যখন “কেউ একটা পাঠিয়েছে” বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মাতৃশক্তিকে, তখন সেই মাতৃশক্তি সমবেত হয়ে যে গর্জনটা তুললো, তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে গিয়েও কাজ হাসিল না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হলেন মমতার মন্ত্রীরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -