এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভয়ংকর অবস্থা বাংলার, গুন্ডামুক্ত করতে রাজ্যে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী! উজ্জীবিত বিরোধীরা!

ভয়ংকর অবস্থা বাংলার, গুন্ডামুক্ত করতে রাজ্যে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী! উজ্জীবিত বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যিই আজকে বাঙালি হিসেবে লজ্জা লাগে আমাদের। ভাবতে অবাক লাগে যে, কোন বাংলায় বাস করছি আমরা! যে বাংলাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সোনার বাংলা বলে গিয়েছেন, এটা কি সত্যিই আজকে সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে? নাকি সেই বাংলা থেকে সমস্ত সোনা চুরি করে নিয়ে এই রাজ্যের শাসক দল একেবারে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে? কেন এই সমস্ত কথা উঠছে! এই সমস্ত কথা আজকে গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষদের কথা, বিরোধীদের কথা। সন্দেশখালি নিয়ে তো এমনিতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর তার মধ্যেই এই রাজ্যের প্রশাসনের ওপর যে আর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই, এই প্রশাসন যে মেরুদন্ড বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূলের কাছে, সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই লোকসভা নির্বাচন কবে ঘোষণা হবে, তা কেউ জানে না। কিন্তু আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিনেই বাংলায় প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে বিরোধীরা খুশি। পাশাপাশি একটা প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে এই রাজ্য সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে কি খবর রয়েছে, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পারে না, গুন্ডাদের দমন করতে পারে না। তাই রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা না রেখে পশ্চিমবাংলায় আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী 1 মার্চ রাজ্যে আসতে চলেছে 100 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর তারপরেই আগামী 3 তারিখ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসবে বলে খবর। এখন সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, অন্য কোনো রাজ্যে তো এত আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হচ্ছে না! তাহলে কেন বাংলায় পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন?

তৃণমূল বলতেই পারে যে, এটা বাংলাকে খাটো করার জন্য, বদনাম করার জন্য একটা চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু না। যে বাংলায় সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও শেখ শাহজাহান শুধুমাত্র তৃণমূল নেতা হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হয় না, সেই বাংলার পুলিশের ওপর যে ভরসা করা যায় না, তারা যে ভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে পারে তৃণমূলের কথা মত, সেটা বুঝতে পারছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা ও ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার জন্যই আগেভাগে প্রচুর মাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলাকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাঙালি হিসেবে আজকে সব থেকে বড় লজ্জা এটাই যে, অন্য কোনো রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে, ভোটের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকা নিয়ে চিন্তিত নয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। একমাত্র ব্যতিক্রম এই পশ্চিমবঙ্গ। যে পশ্চিমবঙ্গ নাকি সংস্কৃতির বার্তা দেয় গোটা দেশকে, আজকে সেই বাংলার এমন পরিস্থিতি এই রাজ্যের শাসক দল করেছে যে, সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রবল চিন্তিত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই ভোটের বহু আগে থেকেই, ভোট ঘোষণার বহু আগে থেকেই তারা বাংলায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিচ্ছে। তবে একদিক থেকে এটা অত্যন্ত খুশির খবর। কারন মানুষকে এতদিন ধরে তৃণমূল যে ভয় দেখিয়েছে, আঞ্চলিক ভোটগুলোতে যেভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাতে লোকসভায় সাধারণ মানুষ নিজেদের ইচ্ছেমত ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু হলেও এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখে বিশ্বাস এবং ভরসা পাবেন। তাই গুন্ডা দিয়ে ভয় দেখানোর দিন শেষ। এবার বিদায়ের দিন গোনা শুরু করুন ফ্যাসিস্ট তৃণমূলের নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!