এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিরিয়ার সঙ্গে বাংলার তুলনা, গোটা দেশের সামনে মুখ পুড়লো মমতার!

সিরিয়ার সঙ্গে বাংলার তুলনা, গোটা দেশের সামনে মুখ পুড়লো মমতার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কোনো গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। আর সেটাই তার সব থেকে বড় মাইনাস পয়েন্ট। বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই মনে করেন। কারণ শাসকের চেয়ারে বসে থাকতে গেলে গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনা সবকিছুকেই শুনতে হবে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, তখন সেখানে না গিয়ে, বিন্দুমাত্র সহানুভূতি না দিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমন একটা ভাব এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেখানোর চেষ্টা করলেন, যেন কিছুই হয়নি সেখানে। তার আলালের ঘরের দুলাল শেখ শাহজাহান যেন কিছুই করেনি। কিন্তু আজকে পশ্চিমবঙ্গ, যেটা সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত, সেই বাংলার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা গোটা দেশের সামনে বাংলার মাথাকে হেঁট করে দিয়েছে।

আজকে জেএনইউয়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত কথা বলছেন, তা শুনতে কি খুব ভালো লাগছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের? কেন প্রথম দিন থেকে যদি তিনি কড়া হাতে সমস্ত কিছু দমন করতেন, শেখ শাহজাহানকে নিজের পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নিতেন, তাহলে কি এই সমস্ত কথা আজকে শুনতে হত? বাংলা নিয়ে আজকে যে সমস্ত সমালোচনা হচ্ছে, তাতে তো বাংলার মানুষের লজ্জা লাগছে ঠিকই। কিন্তু তাদের তো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। ক্ষতি তো হচ্ছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। এটা তিনি কেন বুঝতে পারছেন না? আর এবার দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য কিন্তু আরও একবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলে দিল।

প্রসঙ্গত, শনিবার জেএনইউয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি সিরিয়ার সঙ্গে বাংলার তুলনা করেন। সিরিয়ায় যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে, সেই একই পরিস্থিতি যে পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি হয়েছে, তা সকলের সামনে ব্যাখ্যা করেন শুভেন্দুবাবু। এখন তৃণমূল বলতেই পারে যে, বাংলার মানুষ হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বাংলাকে খাটো করছেন। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। বাংলার একজন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীরও এই গোটা ঘটনায় লজ্জা লাগছে। কিন্তু যদি এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাকে বের না করা যায়, তাহলে আরও বিপদ। যদি তৃণমূল কংগ্রেসও এই ঘটনায় লজ্জিত বোধ করত, তাহলে বোঝা যেত যে, তাদের রুচিবোধ আছে। কিন্তু তারা যেভাবে অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে, যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের দেগে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাতে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের শাসক দল সর্বনাশের আঁতুরঘর তৈরি করেছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই তা থেকে বাংলাকে মুক্ত করার জন্য জেএনইউয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রকৃত বঙ্গ প্রেমী হিসেবে এই বাংলার সরকার কি পরিমান অত্যাচার করছে সাধারণ মানুষদের ওপর, সেই চিত্রটা সামনে তুলে ধরলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা সত্যি যে, এই সমস্ত কথা বাংলার মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের কাছে লজ্জার। কিন্তু কেন এখনও সেই লজ্জা এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মনের অনুভূত হচ্ছে না! সেটাই তো বড় প্রশ্ন। আসলে ভোট বড় বালাই। যারা ভোট লুট করে সন্দেশখালি দখল করেছিল, তাদেরকে রক্ষা করাই তো তার কাজ। সঠিক প্রশাসনিক প্রধানের ভূমিকা তো এই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কোনোদিন অবলম্বন করেননি। যার ফলে তার বিরুদ্ধে এখন সন্দেশখালির মানুষও গর্জে উঠতে দুবার ভাবছেন না। তাই এই বন্দীদশা থেকে রাজ্যকে বের করতে হবে। রাজ্যকে মুক্তি দিতে হবে তৃণমূলের শাসন থেকেঋ সেই কারণেই গোটা দেশের সামনে, গোটা দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সামনে পশ্চিমবঙ্গের যে বিপদ হচ্ছে, যেভাবে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গকে বিপদের সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে, তার চিত্রটা তুলে ধরার জন্য একটা মানুষের বড় প্রয়োজন ছিল।

আর সেই কাজটাই করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যে সমস্ত বাঙালিরা প্রবাসী, তাদের কাছে এই বাংলার কত বড় বিপদ, তা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তিনি। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই রাজ্যের শাসকদলের অন্তত লজ্জা হবে না। তারা যেভাবে চলছিল, সেভাবেই চলবে এবং এভাবেই আইনের শাসনকে হত্যা করে বাংলাকে শেষের কিনারায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে। তবে যেভাবে গোটা দেশজুড়ে এই সন্দেশখালি নাড়া দিয়েছে, তাতে তৃণমূলের বিদায় নিতে আর খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!