এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হারলেও ১০০-র বেশি আসন পেতাম, সমস্ত ইভিএম গোনার দাবি শুভেন্দুর!

হারলেও ১০০-র বেশি আসন পেতাম, সমস্ত ইভিএম গোনার দাবি শুভেন্দুর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই তিনি চ্যালেঞ্জ করে আসছিলেন, এবার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠন হবে। এমনকি নন্দীগ্রামে বিজেপির পক্ষ থেকে যিনি প্রার্থী হবেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রথম চ্যালেঞ্জ রক্ষা করতে না পারলেও, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার জয়লাভ নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হলেও, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন তিনি। তবে এত আত্মপ্রত্যয় সহকারে এতদিন বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় যে শুভেন্দু অধিকারী দু’শোর বেশি আসন নিয়ে দল ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করতেন, তার সেই কথা কোথায় বাস্তবে পরিণত হল? তাহলে কি শুধুমাত্র দলের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে এতদিন এই কথা বলে এসেছেন তিনি সহ রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতারা?

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। তবে যে মহল থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, এবার গণনায় কারচুপি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্য বিজেপির সদরদপ্তর মুরলীধর সেন লেনে দলীয় কর্মীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। যেখানে দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই মঞ্চ থেকেই ভোট গণনায় কারচুপির কথা তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও, গণনার নাম করে কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক গণনা কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি 100-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।”

পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে গণনাকেন্দ্রে যেভাবে টেবিল সাজানো হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রতিটি গণনা টেবিলের মধ্যে ছয় ফুট করে দূরত্ব রাখা হয়েছিল। ফলে অনেক জায়গায় এজেন্টরা সঠিক ফলাফল দেখতে পায়নি। গণনা ঠিক হলে আমরা আড়াই কোটির বেশি ভোট পেতাম।” শুধু তাই নয়, পুনর্গণনার দাবি নিয়ে এবং সব ইভিএম যাতে আবার গোনা হয়, তার জন্য তারা আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যখন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই সেই ফলাফল নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথেই কেন এই প্রশ্ন করতে দেখা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে? কেন এত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি এই ধরনের কথা বলছেন? সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বুঝতে পেরেছেন, দলের নেতা-কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে যেতে শুরু করেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সকলকে উজ্জীবিত করতে এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে এই ধরনের কথা বলছেন তিনি। কিন্তু এসব বলে এখন লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থাশীল, তা এবারের নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে।

একাংশের আবার প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরূপে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। কিন্তু তার পরেও নির্বাচন ভালো হয়েছে বলে এবার গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে কিভাবে প্রশ্ন তোলার সাহস পাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? এক্ষেত্রে তিনি এই প্রশ্ন তুলে তো নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙ্গুল তুলে দিলেন! তাহলে কি কেন্দ্রের শাসকদলের ওপর বা দেশের সাংবিধানিক সংস্থা উপর ভরসা নেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের?

শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পর এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে এবার ইভিএম পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক, তাতে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!