প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার স্বাধীনতা দিবসের দিনে দীর্ঘদিনের প্রথা ভাঙতে দেখা গেল সিপিএমকে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের দিনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য দপ্তরে। আজ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম প্রমুখরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্তের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রস্তাব রেখেছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের পর দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৭৫ বছরে এই প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেল সিপিএমের পার্টি অফিসে। আজ সারাদেশে সিপিএমের সমস্ত পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেল।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে হঠাৎ কেন এই ভোলবদল সিপিএমের? এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জাতীয়তাবাদ, দেশাত্মবোধকে হাতিয়ার করে মানুষের মনে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের এবার চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে সিপিএম। এ কারণেই স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলো। এখানেই শেষ নয় এক বছর ধরে একাধিক কর্মসূচি নিতে চলেছে সিপিএম। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা, দেশের স্বাধীনতায় কমিউনিস্টদের ভূমিকা এই সমস্ত কিছু নিয়ে চলবে প্রচার। এক বছর ধরে চলবে এই বিশেষ কর্মসূচি।

সিপিএমের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের চূড়ান্ত পরাজয়ের পর দলের রদবদলের দাবি উঠেছে দলের একাংশ থেকে। এই পরিস্থিতিতে বামেদের স্বাধীনতা দিবস পালন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে, সিপিএমের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, দেরিতে হলেও বোধোদয় ঘটেছে সিপিএমের। গোটা পৃথিবীতে যখন মার্কসবাদ ছিল না, তখন সেটা পশ্চিমবঙ্গে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল সিপিএম। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।