ভয় পেয়েছে শাহজাহান , অসহযোগিতার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার! ঢোক গিলছে তৃণমূল! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 7, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন যে পুলিশ দিয়ে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে শাহজাহানকে রক্ষা করা হয়েছে, তাকে দুধে-ভাতে রাখা হয়েছিল, সেটা যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শাহজাহান ভেবেছিলেন, সকলের সামনে তো তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি রাজ্য পুলিশের অধীনে এবং রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার অধীনে বেশ ভালো মতই রয়েছেন। কিন্তু যেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবার শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে, তারপর থেকেই তার রাতের ঘুম উড়ে দিয়েছে। বিশেষ সূত্র মারফত কিন্তু এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। কারণ শাহজাহান খুব ভালো মতই জানেন যে, এবার তিনি আর ছাড়া পাবেন না। তাকে গোপন তথ্যগুলো ফাঁস করতে হবে। কার নির্দেশে তিনি গত 5 জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সংস্থার ওপর হামলা করেছিলেন; কেন এই কাজ তিনি করেছিলেন! তাকে সেটা সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়ে বলতেই হবে। আর তা না হলে সিবিআই যে ট্রিটমেন্ট দেবে, সেটা হয়ত হজম করতে পারবেন না শেখ শাহজাহান। তাই এখন তদন্তে অসহযোগিতা করা ছাড়া সন্দেশখালির বাঘের আর বিকল্প কোনো বুদ্ধি নেই। স্বাভাবিকভাবেই সিবিআই সেই শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতেই তার বিরুদ্ধে এক মারাত্মক অভিযোগ উঠতে শুরু করলো। কিন্তু কি সেই অভিযোগ? প্রসঙ্গত, বুধবার আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হবে শেখ শাহজাহানকে। আর তারপরেই তিনি এই খবর পেয়ে রীতিমত ভেঙে পড়েন বলে খবর। কারণ শেখ শাহজাহান খুব ভালো মতই জানেন যে, আর যাই হোক, রাজ্যের দলদাস পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা এক নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা খুব ভালো করেই পেটের কথা বের করতে জানে। তাই আরামে বিড়ামে এতদিন রাজ্যের জেলের মধ্যে থাকলেও এবার কিন্তু দুর্দিন শুরু হয়ে গেল। একাংশের অভিযোগ যে, শেখ শাহজাহানকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন বলেও খবর। অর্থাৎ সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহজাহান কিছুই বলতে চাইছেন না। অর্থাৎ এতদিন রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে নিয়ে আসল সত্যকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল যে, আদালত বুঝি চোখ বন্ধ করে বসে রয়েছে। কিন্তু আদালতের পদক্ষেপ গ্রহণের পর সেই শেখ শাহজাহান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যেতেই যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এবার আসল খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। শাহজাহানকে এবার মুখ খুলতেই হবে। তিনি যতই তদন্তে অসহযোগিতা করুন, তার পেট থেকে কথা বের করে আসল মাথা এবং পাণ্ডা কে, সেটা নিশ্চিত করেই খুঁজে বের করবে সিবিআই বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, শাহজাহানকে যদি প্রথম দিন থেকেই নাটক না করে এই পুলিশ গ্রেপ্তার করত, তাহলে প্রমাণ হত, পুলিশের নিরপেক্ষতা। কিন্তু নিজেদের নিরপেক্ষতার জায়গা এই রাজ্য পুলিশ নিজেরাই রাখেনি। তারা প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করেছে যে, তারা তৃণমূল নেতাদের দলদাস হয়ে কাজ করবে। আর সেই কারণেই আজকে রাজ্য পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। আর যার ফলে আজকে শেখ শাহজাহানকে আরও বিপদের মুখে পড়তে হলো। তিনি যে অপকর্ম করেছেন, তার শাস্তি পেতে আর খুব বেশি দেরি নেই। সন্দেশখালির তিনি নাকি বেতাজ বাদশা! গ্রেফতার হওয়ার পরেও তিনি বেশ বহাল তবিয়তেই ছিলেন। ভেবেছিলেন, তার নেত্রীর পুলিশ যখন আছে, তখন তার কোনো চিন্তা নেই। কিন্তু আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর, সিবিআই হেফাজতে নিয়ে নেওয়ার পরেই শেখ শাহজাহানের চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। এখন তাকে মুখ খুলতেই হবে। তাছাড়া তার কাছে আর বিকল্প কোনো বুদ্ধি নেই। তাই সাময়িকভাবে যতটা পারা যায়, ততটা জেরা পর্ব এড়িয়ে গিয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন শাহজাহান। কিন্তু এসব করে তিনি হয়ত কিছুদিন নাটক করতে পারবেন। তবে দিনের শেষে তার কাছ থেকে আসল তথ্য বের করে নিয়ে বড় পদক্ষেপ নেবে সিবিআই। যত বড়ই মাথা এর পেছনে থাক না কেন, তাদের শাস্তি যেমন হবে, ঠিক তেমনই রাতের ঘুম উড়ে যাবে এই শাহজাহানের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -