জঙ্গলমহলের পরাজয়ের দায় নিতে রাজি নন কোনো নেতাই,চলছে পারস্পরিক দোষারোপ রাজ্য June 6, 2018 সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েতের ফলাফলে রাজ্যের প্রতিটা জেলায় ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত থাকলেও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সবুজ ঝড় অনেকটাই ফিকে।এখানে তৃনমূল কংগ্রেস তাদের আশানুরুপ ফলাফল করতে ব্যার্থ হয়েছে।তৃনমূল সূত্রে খবর,এই হারের পেছনে প্রকৃত কারন খুজে বের করার নির্দেশ এসেছে দলের তরফে।তবে আশ্চর্যজনকভাবে পরাজয়ের কারন খোজা অপেক্ষা নেতাদের একে অপরের ওপর দোষারোপে রীতিমত তিতিবিরক্ত অনেকেই।রাজনৈতিক মহল মনে করছে,এমন লজ্জাজনক ফলাফলের পরও যেভাবে দলীয় অন্তর্দন্দ্বে জড়িত হয়ে পড়েছেন নেতারা,তাতে এইরকম ভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তৃনমূলের এমন দুর্বলতার ফসল ঘরে তুলতে পারে বিরোধীরা।রাজনৈতিক মহলের মতে,এবারের পঞ্চায়েতে জঙ্গলমহলে বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ে অনেকটাই চাপে পড়েছে তৃনমূল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনে বিজেপি,সিপিএম ও আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ মিলে এককাট্টা হয়ে গড়ে তোলে ‘আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ’। এর ফলে যে সব জায়গাতেই বিরোধীদের সাফল্য এসেছে এমনটা নয়,তবে যে জায়গায় তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে সেখানেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃনমূল। সারা রাজ্যে যখন তৃনমূলের জয়জয়কার তখন জঙ্গলমহলে দলের এহেন বিপর্যয়ের কারন খতিয়ে দেখতে গত 30 মে ঝাড়গ্রাম সফরে আসেন তৃনমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তৃনমূল সূত্রের খবর,দলের মহাসচিব জেলার সাংগঠনিক ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করতে এলেও সেখানে কে কত দোষ করেছে তা নিয়েই চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই সভা। দলের এহেন হারে নেতৃত্বরাও একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে দলের অনুশাসন এই জেলাগুলোর কোনো নেতাই মানেননি।জনগনের সাথে এলাকার নেতাদের যোগাযোগেও ভাটা পড়েছিল। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃনমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানান,”কি কারনে এমন ফলাফল জঙ্গলমহলে,তা বুথ ভিত্তিক ফলাফল দেখে রাজ্যকে জানানো হবে।” আপনার মতামত জানান -