এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে বাজিমাত! তৃনমূলের “কামব্যাক” ঘটাতে বড়সড় পদ পেতে চলেছেন একঝাঁক প্রভাবশালী

স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে বাজিমাত! তৃনমূলের “কামব্যাক” ঘটাতে বড়সড় পদ পেতে চলেছেন একঝাঁক প্রভাবশালী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার জেলায় বিজেপির উত্থানে কার্যত কোনঠাসা হয়ে গিয়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস। প্রায় কোনো নেতাকেই তেমনভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তবে মানুষের দুর্দিনে প্রথম থেকেই পাশে ছিলেন দুই তৃনমূল নেতা‌। তাই দুর্দিনে মানুষের পাশে কে দাঁড়িয়েছে, তা জানতে প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, কোচবিহারের প্রায় 40 জন নেতার নাম সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের ব্লক সভাপতির জন্য নথিবদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিধায়কদের কাছ থেকে ব্লক সভাপতিদের জন্য নামের তালিকা রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রাক্তন ব্লক সভাপতিদের কারোর নাম নেই। কিন্তু কেন এমনটা হল? কেন দলের পুরোনো ব্লক সভাপতিরা সেখানে জায়গা পেলেন না?

অনেকে বলছেন, তৃণমূলের এই সমস্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতিদের ভাবমূর্তি খুব একটা ভালো নয়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের দলের শীর্ষ স্থানে বসিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক এমনটা চায় না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাই প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে এই ব্যাপারে সমীক্ষা করে রীতিমতো যারা মানুষের পাশে দুর্দিনে থেকেছেন, তাদেরকেই পদ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ পুরনো যারা এতদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই নষ্ট হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। তাই এখন থেকেই সময় নষ্ট না করে ভালো লোকেদের নেতৃত্ব স্থানে এনে দলকে স্বচ্ছ করতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের টিম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বারোটি ব্লক নিয়ে কোচবিহার জেলা গঠিত। লোকসভা ভোটের আগেই বারটি ব্লকের 12 জন ব্লক সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও 6 টি টাউন ব্লক ধরে আলাদা সভাপতি ছিল। কিন্তু লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস এখানে হেরে যাওয়ার পরেই জেলা সভাপতি বদল হওয়ার পর বিভিন্ন ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পুরনো ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করে। আর এরপরই নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। সেই মত করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিভিন্ন নাম পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে তৃণমূল স্তরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, পিকের টিমের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে সমীক্ষা করে কোন নেতার নামের পেছনে কোনো দুর্নীতি নেই, তার ব্যাপারে রহস্য উন্মোচন করে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও আচ করা হয়। আর তারই অঙ্গ হিসেবে পুরনো নেতাদের সরিয়ে নতুন মুখ এনে বিভিন্ন ব্লক সভাপতি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বিধানসভা ভিত্তিক দলের কমিটি রয়েছে। এবারে বিধানসভা ভিত্তিক ব্লক সভাপতি হবে। বিধায়করা নামের তালিকা দেবেন। তা রাজ্যের কাছে পাঠানো হবে। কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেখানেই ঠিক হবে।”

অন্যদিকে কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ব্লক সভাপতি খুব শীঘ্রই ঘোষণা হবে। স্বচ্ছ নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পাবেন, এটুকু বলতে পারি। অস্বচ্ছতার কোনো জায়গা নেই।” অর্থাৎ তৃণমূল আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন দলে এমন কাউকে জায়গা দিতে চাইছে না, যার ফলে দলের বদনাম হয়। তাই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সমীক্ষার ভিত্তিতে ভালো নেতাদের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

কিন্তু পুরনো নেতাদের সরালে তাদের মনে যদি গোসা হয়, তাহলে আগামীদিনে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হওয়ার আশঙ্কা করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল কতটা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারে দলীয় পদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!