দল শোধরাতে জঙ্গলমহল-এর টেনে কড়া বার্তা তৃণমূলের পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য June 25, 2018 এখনও সময় আছে, শুধরে নাও। না হলে অবস্থা হতে পারে ঝাড়গ্রাম কিংবা পুরুলিয়ার মতো। দলের কর্মীদের উদ্দেশে এমনটাই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। জঙ্গলমহল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা গেছে বিজেপি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সেখানে। তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিয়ে বিজেপির উত্থান হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত ঘাসফুল শিবির। আর সেই খাটো সাড়াতে এবার উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। এদিন দলকে তাই জঙ্গলমহলের উদাহরণ দিয়ে সাবধান করলেন তৃণমূল নেতা রেজ্জাক মোল্লা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে রাজ্যের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা রেজ্জাক মোল্লা এদিন ভাঙরের কাঠালিয়ায় দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বৈঠক করতে গিয়ে নিজেই অস্বস্তির মুখে পড়লেন। কারণ ঘাসফুল শিবিরের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেই স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি এছাড়াও তোলাবাজির অভিযোগ তুললেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেনেই তিনি এদিন তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে ছিলেন। কিন্তু করতে গিয়েই ব্যাপক চাপের মুখে পড়লেন ভাঙরের স্থানীয় বিধায়ক রেজ্জার সাহেব। এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন যে সময় থাকতে থাকতেই নিজেদেরকে শুধরে নিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই ১৮০০ জন নির্দল পার্থী হয়েছিলো। তাঁদেরকে আগেভাগে শনাক্ত করা দরকার নয়তো ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মতোই অবস্থা হবে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, ভোগালি ২ নম্বর অঞ্চলের ঘাসফুল শিবিরের সভাপতি মোদাসের হোসেনের বিরুদ্ধেই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের সব কথা মনযোগ সহকারে শুনে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়ে এসেছেন স্বানীয় বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। আর তাই রাজনৈতিকমহলের ধারণা বড় ধাক্কা দিয়েছে জঙ্গলমহল তাই দল শোধরাতে জঙ্গলমহলে উদাহরণ হয়ে উঠেছে শাসকদলের কাছে। আপনার মতামত জানান -